ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) ও মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম বলেছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত জামা’তুল মুজাহিদীন (জেএমবি) এখন দুই ভাগে বিভক্ত। একটি অর্থায়নের জন্য বিভিন্ন স্থানে হামলা, ডাকাতি, ব্যাংক ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের কাজ করে আসছে। অন্য একটি গ্রুপ সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করেছে। আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জিহাদী বই, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্রসহ জেএমবি’র ১১ সদস্য গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।পুলিশ সদর দফতরের এলআইসি শাখা ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) বিভাগের যৌথ অভিযানে আটক জেএমবি সদস্যরা হলেন- আরিফ ইবনে খায়ের ওরফে রিফাত, মো. বাবু মুন্সি ওরফে মাসুদ রানা, খোরশেদ আলম, ওমর ফারুক, আলহাজ মিয়া, হেলাল উদ্দিন, আব্দুল বাছেদ, মো. সুজাত, আজাহার আলী, ফরহাদ হোসেন ও মিজানুর রহমান।সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম বলেন, জেএমবি ২০০৪-০৫ সালে যে ধরণের তৎপরতা শুরু করেছিল সে ধরণের ক্ষমতা এখন তাদের আর নেই। বৈষয়িকভাবে জঙ্গি সংগঠনগুলো সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। একে অপরকে অনুকরণ করার চেষ্টা করছে।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশেও গত ২/১ বছর ধরে জেএমবি সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনীর তৎপরতা ও নজরদারির কারণে দুই-একটি ঘটনা ছাড়া বড় কোনো ঘটনা ঘটাতে পারেনি। তাদের সিরিজ হামলা চালানোর মতও কোনো ক্ষমতা নেই। মনিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু, ধর্মপ্রাণ তবে ধর্মান্ধ নয়। সে কারণে দেশের মানুষ জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদকে ঘৃণা করে। জনগণের সহযোগীতায় তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা, ব্যাপক অর্থায়ন, নিজেদের নেতাকর্মী বৃদ্ধি করা চেষ্টা করছে। এছাড়া তারা রাষ্ট্রীয় বড় পদস্থ কাউকে হত্যার পরিকল্পনা করতে পারে বলেও আমরা ইনটেলিজেন্সের মাধ্যমে জেনেছি। তবে আমরা এও জেনেছি বর্তমানে তাদের সে ধরণের কোনো সক্ষমতা নেই। জেইউ/আরএস/এমএস
Advertisement