করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ইতোমধ্যেই পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে করোনায় মৃত্যুবরণকারী ৪ পুলিশ সদস্যের পরিবার।
Advertisement
জানা গেছে, সরকারি দায়িত্ব পালনকালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী ৪ পুলিশ সদস্যের পরিবারকে সরকার ঘোষিত ক্ষতিপূরণ দিতে অর্থ বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
উপসচিব ফারজানা জেসমিন স্বাক্ষরিত এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিপূরণ পাবে ওই ৪ পুলিশ সদস্যদের পরিবার।
জননিরাপত্তা বিভাগের চিঠিতে বলা হয়, পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত ৪ পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারি দায়িত্ব পালনকালে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। সরকার ঘোষিত পরিপত্রে উল্লেখিত শর্তানুযায়ী দায়িত্ব পালনকালে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে এককালীন ক্ষতিপূরণ প্রদানের সিদ্ধান্ত থাকায় এসব পুলিশ সদস্যের পরিবার সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র দাখিল করে।
Advertisement
ওই ৪ পুলিশ সদস্য হলেন- গত ৬ জুলাই মৃত্যুবরণকারী পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) মো. মোশাররফ হোসেন (গ্রেড-৯), ২৬ আগস্ট মৃত্যুবরণকারী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) এস এম আরিফুর রহমান (গ্রেড-৯), ২৩ আগস্ট মৃত্যুবরণকারী কনস্টবল দেওয়ান মো. নূরে আলম ছিদ্দিকী (গ্রেড-১৪) এবং ২১ জুলাই মৃত্যুবরণকারী কনস্টবল মো. সাইফুল আলম (গ্রেড-১৪)।
এর আগে, প্রথম দফায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া পুলিশ বাহিনীর ৭ সদস্যের পরিবারকে ২ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়।
দ্বিতীয় দফায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিরস্ত্র, সশস্ত্র এমন ২১ পুলিশ সদস্যের তালিকা পাঠানো হয়। তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয়া হয় ৭ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তৃতীয় দফায় আরও ৯ জনের পরিবারকে ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিজীবীদের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে কিংবা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে ক্ষতিপূরণ দেয়ার লক্ষ্যে গত ২৩ এপ্রিল অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।
Advertisement
সেখানে বলা হয়, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন স্কেল অনুযায়ী প্রথম থেকে ষষ্ঠ গ্রেডের কোনো কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ বাবদ পাবেন ৫ লাখ টাকা এবং মৃত্যু হলে পরিবারকে দেয়া হবে ৫০ লাখ টাকা।
১০ থেকে ১৪ গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে সাড়ে ৭ লাখ টাকা এবং মৃত্যু হলে দেয়া হবে সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা। আর গ্রেড ১৫ থেকে ২০-এর মধ্যে আক্রান্তদের দেয়া হবে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং মৃত্যু হলে পাবেন ২৫ লাখ টাকা।
আইএইচআর/এফআর/পিআর