জাতীয়

বিমানবন্দরে উপেক্ষিত সামাজিক দূরত্ব বিধি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করা হলেও ‘সামাজিক দূরত্ব বিধি’ মানা হচ্ছে না। অভ্যন্তরীণ কিংবা আন্তর্জাতিক যেকোনো রুটের যাত্রীরা টার্মিনালে পৌঁছানো মাত্র প্রবেশপথে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। শরীরের তাপমাত্রা কত তা যাত্রী স্বাস্থ্য তথ্য ফরমে লিখে দেয়া হচ্ছে।

Advertisement

ফরমে নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, কোন ফ্লাইটের যাত্রী, জ্বর বা সর্দি আছে কিনা, শ্বাসকষ্ট আছে কিনা, করোনার কারণে গত ১৪ দিন বোর্ডিং থেকে ফেরত এসেছে কিনা ইত্যাদি তথ্য দিতে হচ্ছে।

প্রবেশপথে যাত্রীদের নিরাপত্তায় মুখের মাস্ক, হাতের গ্লাভস সরবরাহ করা হচ্ছে। যাত্রীদের জন্য রাখা আছে জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার।

দেখা গেছে, প্রত্যেক যাত্রী মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করলেও সামাজিক দূরত্ব (ন্যূনতম তিন ফুট দূরত্বে অবস্থান) মানা হচ্ছে না। প্রবেশপথ থেকে শুরু করে টার্মিনালের ভেতর এমনকি বিমানে ওঠার সময়ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা প্রতিপালিত হচ্ছে না।

Advertisement

রোববার (২২ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।

বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, করোনার সংক্রমণরোধে তারা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রবেশপথে প্রত্যেক যাত্রীর জ্বর পরিমাপ করা, মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস সরবরাহ করছেন।

তারা জানান, অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে যাত্রীদের লাগেজ চেকিং ও অপেক্ষাগার অপেক্ষাকৃত ছোট হওয়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে যখন একাধিক ফ্লাইটের কাছাকাছি সময়ে শিডিউল থাকে তখন যাত্রীদে গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

বিমানবন্দরের করোনা প্রতিরোধে গৃহীত স্বাস্থ্যবিধি কার্যক্রমে যাত্রীরা খুশি। তারা বলছেন, টার্মিনালের আয়তন বড় করা দরকার। যাত্রীরা একটু বেশি সচেতন হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব। এক্ষেত্রে যাত্রীদের ধৈর্য ধরা জরুরি বলে তারা মনে করেন।

Advertisement

এদিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে করোনাভাইরাস স্ক্রিনিংয়ে মেডিকেল বোর্ড থাকলেও সব যাত্রীর স্ক্রিনিং সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে বিমানবন্দরে কর্তব্যরত এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিদিন গড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ রোগীর স্ক্রিনিং হলেও যাত্রী অনেক বেশি। অনেকে স্ক্রিনিং না করে সরাসরি বাইরে চলে যান। আনসাররা তাদের স্ক্রিনিংয়ের জন্য বললেও অনেকেই কথা শোনেন না।

এমইউ/বিএ/পিআর