চলতি বছর দফায় দফায় টানা বর্ষণে ছড়ায় পহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন ত্রিপুরা পল্লীর রাস্তা ও বাড়িঘর। পল্লীর বাসিন্দা ২৪টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিও ভেঙে গেছে।
Advertisement
টিলা ধসে ভেঙে পড়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। এটি রক্ষায় এখনই উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন পল্লীর বাসিন্দারা। গাইডওয়াল দিয়ে এটি সংস্কার না করলে আগামী বর্ষায় পল্লীর বাড়িঘর বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন তারা।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, চলতি বছর বর্ষা মৌসুম শেষেও অঝরে বৃষ্টি হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় মুষলধারে বৃষ্টি কারণে পাহাড়ি এলাকায় ঢল নামে। এর ব্যতিক্রম ছিল না পাহাড় টিলা ঘেরা চুনারুঘাট উপজেলাও। প্রবল বর্ষণের কারণে পাহাড়ি ঢলে উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ছড়াগুলোতে ভাঙন দেখা দেয়।
পানির তোড়ে উদ্যান সংলগ্ন ত্রিপুরা পল্লীতে বসবাসরত ২৪টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ভেঙে গেছে। পল্লীতে গাইডওয়াল না থাকায় পাহাড়ি ঢলে টিলা ধসে পল্লীর বেশ কয়েকটি ঘর ভেঙে ছড়ায় বিলীন হয়ে গেছে। এ অবস্থায় চরম কষ্টে দিন পার করছেন পল্লীর বাসিন্দারা।
Advertisement
ত্রিপুরা পল্লীর বাসিন্দারা জানান, এবার বর্ষায় তাদের বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে ছড়ায় বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই তাদের বাপ-দাদার ভিটের আর অস্তিত্ব থাকবে না। তাই তারা গাইডওয়াল দিয়ে পল্লীটি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।
পল্লীর বাসিন্দা আশিষ দেববর্মা জানান, প্রতি বছর বর্ষাতেই ছড়ায় বাড়িঘর বিলীন হয়। গত বছর ৩টি বাড়ি বিলীন হয়েছিল। কিন্তু এবার পুরো গ্রামটিই হুমকির মুখে পড়েছে। আমাদের গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
ত্রিপুরা পল্লীর হেডম্যান চিত্ত দেববর্মা জানান, চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াত করতে পারছেন না পল্লীর বাসিন্দারা। তারা বার বার দাবি জানালেও এটি সংস্কারে তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।
সাতছড়ির রেঞ্জার মোতালিব হোসেন জানান, এ বছর প্রবল বর্ষণের কারণে বনের অনেক গাছ পড়েছে। টিলা ধসে গেছে। তেলমাছড়ার মেইন রাস্তাটিও ভেঙে গেছে।
Advertisement
তিনি বলেন, সাতছড়ির ত্রিপুরা পল্লীর বাড়ি ও রাস্তা ভেঙে গেছে। এবারের ভূমিধসে সব মিলিয়ে অন্তত ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে একটি গাইড ওয়াল নির্মাণ করলে আপাতত ত্রিপুরা পল্লীর টিলা ধস রোধ করা সম্ভব হবে।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এফএ/এমএস