দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হারও বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার প্রায় ৪৩ শতাংশ (৪২ দশমিক ৭৪ শতাংশ) বেড়েছে। একই সঙ্গে নমুনা পরীক্ষার হার, শনাক্ত ও সুস্থতার হার বেড়েছে।
Advertisement
৪৬তম (৮ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত) সপ্তাহে করোনাভাইরাসে মৃত রোগীর সংখ্যা ছিল ১২৪ জন। ৪৭তম সপ্তাহে (১৫ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত) মৃত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৪৬তম সপ্তাহে (৮ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত) ৯৭ হাজার ২৯২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময় ১১ হাজার ৭৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ১১ হাজার ২৮১ জন সুস্থ হয়ে ওঠেন। ৪৭তম সপ্তাহে এক লাখ ৮ হাজার ৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত হয় ১৪ হাজার ৭৮৫ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন ১২ হাজার ৫০৩ জন।
Advertisement
৪৬ ও ৪৭তম সপ্তাহের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার হার ১১ দশমিক ০৮ শতাংশ, শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ০২ এবং সুস্থতার হার ১০ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৮ ও নারী ১০ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ছয় হাজার ৩৫০ জনে।
এ সময় ১১৭টি ল্যাবরেটরিতে ১২ হাজার ৪৫৮টি নমুনা সংগ্রহ ও ১২ হাজার ৬৪৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ফলে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ২০২টি। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয় এক হাজার ৮৪৭ জন। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪ লাখ ৪৫ হাজার ২৮১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯২১ জন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৬০ হাজার ৩৫২ জনে।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬১ এবং এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। মোট রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৯৩ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৮৮১ (৭৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৪৬৯ (২৩ দশমিক শূন্য ১৩ শতাংশ)।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২৮ জনের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ছয়জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১৯ জন।
বিভাগ অনুযায়ী মৃত ২৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৬ জন, চট্টগ্রামে তিন, রাজশাহীতে তিন, খুলনায় দুই, বরিশালে দুই, সিলেটে এক এবং রংপুরে একজন।
উল্লেখ্য, দেশে করোনা সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ।
এমইউ/জেএইচ/এমকেএইচ