পিৎজা বারে কর্মরত এক ব্যক্তির মিথ্যা কথার কারণে লকডাউনে যেতে হয়েছে গোটা সাউথ অস্ট্রেলিয়াকে। গত শুক্রবার অনেকটা বাধ্য হয়েই এ কথা স্বীকার করে নিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সাউথ অস্ট্রেলিয়া প্রশাসনের প্রধান স্টিভেন মার্শাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রাজ্যটির ১৭ লাখ মানুষকে ছয়দিনের লকডাউনে যেতে হতো না, যদি পিৎজা বারের ওই কর্মী মিথ্যা না বলতেন।
Advertisement
তবে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ছয়দিন শেষ হওয়ার আগেই লকডাউন তুলে নেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
সম্প্রতি স্থানীয়ভাবে কয়েক ডজন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর গত বুধবার ছয় দিনের ‘সার্কিট ব্রেকার’ লকডাউন ঘোষণা করে সাউথ অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ। করোনা নিয়ন্ত্রণে অসাধারণ সাফল্য দেখানো রাজ্যটিতে গত এপ্রিলের পর এটাই ছিল প্রথমবার স্থানীয়ভাবে সংক্রমণের ঘটনা।
সংক্রমণের উৎস খুঁজতে গিয়ে অ্যাডিলেড শহরের উডভাইল পিৎজা বারকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা। সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ কমিশনার গ্রান্ট স্টিভেনস বলেন, কর্মকর্তারা দেখেন, ওই পিৎজা বারে শুধু পিৎজা নিতে যেতেন দাবি করা এক ব্যক্তি আসলে সেখানকার কর্মী। তিনি বারটিতে নিয়মিত কাজ করতেন। মার্শাল বলেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা দেখতে পান, উডভাইল পিৎজা বারের সঙ্গে সম্পর্কিত এক ব্যক্তি করোনা শনাক্তকরণ টিমকে ক্রমাগত ভুলপথে পরিচালিত করেছেন। আমরা এখন জানি, তারা মিথ্যা বলেছে।
Advertisement
হটস্পট খুঁজে পাওয়ার পরপরই সংক্রমণ প্রতিরোধে সব স্কুল, পাব, কফিশপসহ বাইরে খেলাধুলা বন্ধ করে দেয় সাউথ অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন। তবে চালু রাখা হয় সুপারমার্কেট, মেডিক্যাল স্থাপনা, গণপরিবহনের মতো জরুরি সেবাগুলো।
রাজ্যটির পুলিশ কমিশনার বলেন, এটি আমাদের সম্প্রদায়ের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। ভুল তথ্যের ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে।
তবে করোনা সংক্রমণের বিষয়ে ভুল তথ্য দেয়া সেই পিৎজাকর্মীর বিরুদ্ধে জরিমানা বা কোনও ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ কমিশনার স্টিভেনস। বর্তমানে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত আরেক দল কর্মীকে শনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে।
তাছাড়া, আগামী শনিবার রাতেই রাজ্যব্যাপী লকডাউন তুলে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্টিভেন মার্শাল।
Advertisement
সূত্র: সিএনএন
কেএএ/এমএস