নব্বইয়ের দশকে আর্মেনিয়ার দখল করা আগদাম অঞ্চলে শুক্রবার প্রবেশ করেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। রুশ মধ্যস্থতায় চুক্তির পর আর্মেনিয়া যে তিনটি শহর হস্তান্তর করছে তার মধ্যে আগদাম একটি।
Advertisement
আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘আজারবাইজান সেনাবাহিনীর সদস্যরা ২০ নভেম্বর আগদাম অঞ্চলে প্রবেশ করেছে।’ বাকি অংশগুলোও আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে হস্তান্তর হবে বলে জানানো হয়েছে।
জার্মান সংবাদমাধ্যমে ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী আগদামে আজেরি সেনাবাহিনীর ট্যাংক ঘুরছে, এমন ভিডিও ফুটেজ টুইট করেছেন দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্য বিভাগের উপ-পরিচালক ইসমাইল চাভিয়েভ।
আগদামের পর আগামী ২৫ নভেম্বর কালবাজার এবং ১ ডিসেম্বর হস্তান্তর হবে লাচিন জেলা। ১৯৯৩ সালের জুলাইয়ে প্রথম নাগরনো-কারাবাখ যুদ্ধের সময় আগদাম অঞ্চলটি দখলে নিয়েছিল আর্মেনীয় সামরিক বাহিনী।
Advertisement
শুক্রবারের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে বিগত কয়েকদিনে আর্মেনীয় সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় আর্মেনীয় জাতিগোষ্ঠীর মানুষ আগদাম ছেড়ে গেছেন। তবে আজেরিদের এই অঞ্চলে বসবাসে নিরুৎসাহিত করতে শহরের বড় অংশ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এখন প্রায় পুরো শহরটিই খালি পড়ে রয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরের শেষদিকে শুরু হওয়া সবশেষ নাগোরনো-কারাবাখ যুদ্ধে কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কারাবাখের দেড় লাখ বাসিন্দার অর্ধেকের বেশি হারিয়েছেন নিজেদের বাসস্থান। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অনুযায়ী আজারবাইজানের অংশ হলেও নাগরনো-কারাবাখ ৩০ বছর ধরে আর্মেনীয়দের দখলেই ছিল।
আর্মেনিয়ায় বিক্ষোভ অব্যাহতআর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করছেন দেশটির জনসাধারণ। পাশিনিয়ান পদত্যাগের সব সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেও তার সরকারের তিন মন্ত্রী গত এক সপ্তাহে পদত্যাগ করেছেন। আগাম নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরমেন সারকিসিয়ান।
এদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা এড়াতে শুক্রবার পদত্যাগ করেছেন আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডাভিট তোনোয়ান। তার জায়গায় দায়িত্বে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাগারশাক হারুতুনিয়ানকে।
Advertisement
এসএ/পিআর