লক্ষ্মীপুরে প্রেম করে বিয়ের তিন মাসের মাথায় শারমিন আক্তার রিমি (১৯) নামের এক নববধূকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই স্বামী দেলোয়ার পলাতক রয়েছেন। তবে শ্বশুর পক্ষের দাবি, হত্যা নয় আত্মহত্যা করেছে রিমি।সোমবার সন্ধ্যার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের দক্ষিণ মজুপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ওই নববধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, তিন মাস আগে সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের চরমণ্ডল গ্রামের নূর নবীর মেয়ে রিমির সঙ্গে পৌর শহরের দক্ষিণ মজুপুর এলাকার দেলোয়ারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়।ঘটনার দিন সন্ধ্যায় রিমিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।এদিকে রিমির বড় ভাই মো. মোহসিন অভিযোগ করে বলেন, রিমির শ্বশুর বাড়ি লোকজন পরিকল্পিতভাবে তার বোনকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফসারুল ইসলাম রুবেল বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।কাজল কায়েস/বিএ
Advertisement