দেশজুড়ে

১৯ দিন পর কবর থেকে গৃহবধূর লাশ উত্তোলন

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে মৃত্যুর ১৯ দিন পর দুই সন্তানের জননী মাকসুদা আক্তার ডলি নামে এক গৃহবধূর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. লুৎফর হাসানের উপস্থিতিতে আবুল কালাম আজাদের বাড়ির কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলনের পর তা ময়নাতদন্তের জন্য শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।গৃহবধূর স্বজনরা জানান, গ্রামের নোয়াব আলীর ছেলে আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে ১৮ বছর পূর্বে গৌরনদী উপজেলার দক্ষিণ সাকোকাঠী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা তাজেম আলীর মেয়ে মাকসুদা আক্তার ডলির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আবুল কালাম আজাদ স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ঢাকার মিরপুর-১২ নম্বর এলাকায় বসবাস করে আসছে।বছর খানেক আগে আবুল কালাম আজাদ কুমিল্লা জেলার সোনিয়া নামের এক যুবতীর সঙ্গে পরকিয়া প্রেমে জরিয়ে পড়ে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। গত ২২ অক্টোবর গভীর রাতে এ ঘটনা নিয়ে স্ত্রীকে মারধর করলে তার মৃত্যু হয়। আজাদ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে কাউকে না জানিয়ে ঢাকা থেকে বাবুগঞ্জে ডলির লাশ নিয়ে এসে তড়িঘড়ি করে দাফন করে।ঘটনার একদিন পর আজাদ ডলির স্বজনদের ফোন করে জানায়, ডলি আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় গত ২৬ অক্টোবর নিহতের চাচাতো ভাই মেহেদী হাসান ঢাকার সিএমএম আলাদতে মামলা দায়ের করলে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা পল্লবী থানার এসআই মো. কামরুল ইসলাম জানান, গত ২৬ শে অক্টোবর নিহত মাকসুদা আক্তার ডলির চাচাতো ভাই মেহেদী হাসান বাদী হয়ে ঢাকা সিএমএম আলাদতে আবুল কালাম আজাদসহ চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে।আদালত মামলাটি এজাহারভুক্ত করার জন্য পল্লবী থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানান এসআই মো. কামরুল।বাবুগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, পল্লবী থানা থেকে লাশ উত্তোলনের ব্যাপারে আগেই তাকে অবহিত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তিনি।সাইফ আমীন/বিএ

Advertisement