আন্তর্জাতিক

সামরিক খাতে বরাদ্দে ৩০ বছরের রেকর্ড ভাঙছে ব্রিটেন

সামরিক খাতে ব্যয় বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটেন। গত ৩০ বছরের মধ্যে সামরিক খাতে এটাই সর্বোচ্চ ব্যয়। বছরে অতিরিক্ত আরও ৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আগামী চার বছরের জন্য এই বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।

Advertisement

এই অর্থ মহাকাশ এবং সাইবার প্রতিরক্ষা প্রজেক্ট যেমন কৃত্রিম গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে। ব্রিটিশ সরকার বলছে, এই তহবিলের মাধ্যমে আরও ৪০ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সামরিক খাতে অতিরিক্ত তহবিল ঘোষণার সময় বলেন, এটা বৈশ্বিক ক্ষেত্রে আমাদের প্রভাব বিস্তারকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।

চলতি বছরের এই বাজেট আগের বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। ২০১৯ সালে কনসারভেটিভ দলের নির্বাচনী ইশতেহারে সামরিক খাতে ব্যয় বাড়ানোর বিষয়টিকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। জনসনের সরকার তাদের সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেই সামরিক খাতে ব্যয় বাড়ানোর ঘোষণা দিল।

Advertisement

সরকার বলছে, তারা আশা করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সব মিলিয়ে আগের বছরের বাজেটের তুলনায় এ বছর ২৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার পাচ্ছে। তারা আগামী চার বছর এই অর্থ ব্যয় করবে।

বুধবার এক বিবৃতিতে বরিস জনসন বলেন, তিনি করোনাভাইরাসের এই মহামারি পরিস্থিতির মধ্যেই সামরিক খাতে ব্যয় বাড়িয়েছেন কারণ প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মীরাই এই দুর্যোগে আগে এগিয়ে আসবে।

তিনি বলেন, শীতল যুদ্ধের পর অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি আরও বেশি বিপজ্জনক এবং প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে।

বরিস জনসন আরও বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে রূপান্তর করা, বিশ্বব্যাপী শক্তিশালী প্রভাব বিস্তার করা, একত্রিত করা এবং আমাদের দেশে ঐক্য তৈরি করা, নতুন প্রযুক্তির পথিকৃৎ তৈরি এবং জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করার জন্য উপযুক্ত সুযোগ এটি।

Advertisement

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেন্সের জন্য এটি একটি বড় জয় বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। কারণ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর জন্য কঠিনভাবে লড়াই করেছেন তিনি। এর আগে ব্রিটিশ রাজস্ব বিভাগ প্রতিরক্ষা খাতে বার্ষিক বৃদ্ধি সামান্যই করতে চেয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জনসনের ঘনিষ্ট ওয়ালেন্স জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোটাই তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

টিটিএন