পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল ও বে-টার্মিনাল নির্মাণকাজ আরও গতিশীল করার নির্দেশ দিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
Advertisement
বুধবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে ‘পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল’ প্রকল্পে অপারেটর নিয়োগ এবং ‘বে-টার্মিনাল’ নির্মাণ প্রকল্পের ওপর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল’ ও ‘বে-টার্মিনাল দ্রুত আলোর মুখ দেখবে। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তা-ভাবনাকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করতে সক্ষম।
সভায় জানানো হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পণ্য/কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ প্রায় ১২ ভাগ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পিসিটি নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। পিসিটিতে থাকবে ব্যাকআপ ফ্যাসিলিটিজসহ ৫৮৩ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার জেটি, ২২০ দীর্ঘ ডলফিন জেটি, ৮৯ হাজার বর্গমিটার আরসিসি ইয়ার্ড, ২ হাজার ১২৮ বর্গমিটার কন্টেইনার শুল্ক স্টেশন, ২ হাজার ১৫০ মিটার লম্বা ৬ মিটার উচ্চ কাস্টম বন্ডেড হাউজ, ২ হাজার ৫০০ মিটার রেলওয়ে ট্রাক, ৪২০ মিটার ফ্লাইওভার, এক হাজার ২০০ বর্গমিটার মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ এবং ৫ হাজার ৫৮০ বর্গমিটারের অফিস বিল্ডিং।
Advertisement
পিসিটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে- পূর্ত কাজের জন্য এক হাজার ১২৭ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, রেলওয়ে কাজের জন্য ১৪২ কোটি টাকা ও ইক্যুইপমেন্ট ব্যয় ৪৯৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর বাৎসরিক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা ৪ লাখ টিইইউ’স (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনার)। নির্মাণাধীন পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের কাজ ২০২১ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে এর জেটিতে একসাথে তিনটি জাহাজের বার্থিং সুবিধা তৈরি হবে।
সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) সুলতানা আফরোজ এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শেখ মো. আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/এমএআর/এমএস
Advertisement