করোনাকালীন বিশ্বে সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর হিসেবে নাম উঠে এসেছে হংকংয়ের। খরচ বেড়েছে প্যারিস, জুরিখ, লন্ডনেরও। তবে করোনা মহামারির আঘাত আর যুদ্ধবিধ্বস্ত হওয়া সত্ত্বেও বিশ্বের সবচেযে কম খরুচে শহর নির্বাচিত হয়েছে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক।
Advertisement
সম্প্রতি দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) নামে একটি সংস্থার জরিপে উঠে এসেছে এসব তথ্য। বিশ্বের প্রায় ১৩০টি শহরে খাবার, পানি, পোশাক, ঘরভাড়াসহ ১৩৮টি পণ্য ও সেবার মূল্যের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়েছে এ র্যাংকিং।
ইআইইউ’র জরিপ অনুসারে, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর হংকং। এর পরে রয়েছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস ও সুইজারল্যান্ডের শহর জুরিখ। গতবারের তালিকায় এ দু’টি শহর যৌথভাবে পঞ্চম হলেও এবছর করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইউরো ও সুইস ফ্রাঁ’র মান বেড়ে যাওয়ায় তালিকায় এগিয়ে এসেছে তারা।
তবে পতন ঘটেছে এশিয়ার দুই শহর সিঙ্গাপুর ও ওসাকার। এবছর সিঙ্গাপুর নেমে গেছে তালিকার চতুর্থ স্থানে। পঞ্চম স্থানে জাপানের শহর ওসাকার সঙ্গে যৌথভাবে রয়েছে ইসরায়েলের তেল আবিব।
Advertisement
দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মতে, করোনা মহামারিতে বিদেশি কর্মী কমে যাওয়ায় ব্যাপক হারে চাহিদাও কমে গেছে সিঙ্গাপুরে। যার ফলে কমেছে পণ্যের দাম। একই অবস্থা ওসাকাতেও।
গতবারের তুলনায় তালিকায় একধাপ করে নিচে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্রের তিন শহর নিউইয়র্ক, কোপেনহেগেন ও লস অ্যাঞ্জেলস। এবছর জেনেভার সঙ্গে যৌথভাবে সপ্তম হয়েছে নিউইয়র্ক। নবম স্থানে কোপেনহেগেন ও লস অ্যাঞ্জেলস।
যুক্তরাজ্যের শহরগুলোর মধ্যে লন্ডন একলাফে তিন ধাপ এগিয়ে হয়েছে ২০তম। আর ম্যানচেস্টার গতবছরের ৫১তম থেকে এবছর গিয়েছে ৪৬তম স্থানে।
অস্ট্রেলিয়ার শহরগুলোর মধ্যে সবার ওপরে সিডনি (১৫তম), এরপর মেলবোর্ন (১৮তম), ব্রিসবেন (৩৮তম) এবং অ্যাডিলেড (৪৬তম)।
Advertisement
এবারের তালিকায় সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে তেহরান। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার কারণে খরচ বেড়ে যাওয়ায় তারা একলাফে ২৭ ধাপ এগিয়েছে।
তবে, আশ্চর্যজনকভাবে সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল শহর নির্বাচিত হযেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার শহর দামেস্ক। তাদের একধাপ ওপরে রয়েছে উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দ। এরপর রয়েছে যথাক্রমে জাম্বিয়ার শহর লুসাকা এবং ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাস।
জরিপের ফলাফলের সঙ্গে ইআইইউ বলেছে, করোনাভাইরাস মহামারি সারা বিশ্বেই মানুষের খরচের অভ্যাস বদলে দিয়েছে। এসময় আবশ্যক নিত্যপণ্যগুলো দামের ক্ষেত্রে অনাবশ্যক পণ্যের তুলনায় বেশি স্থিতিস্থাপকতা দেখিয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, করোনাকালে একমাত্র পোশাক খাতেই দরপতন হয়েছে। আর ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদা বেড়েছে সর্বোচ্চ।
সূত্র: ডেইলি মেইল
কেএএ/এমকেএইচ