নারী ও শিশু

চার লক্ষাধিক শিশু গৃহকর্মী কাজে নিয়োজিত

দেশের চার লক্ষাধিক শিশু গৃহকর্মের মত মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। গৃহকর্মে নিয়োজিত এসব শিশুরা দৈনিক গড়ে ১৫ ঘণ্টা কাজ করে থাকে, যার প্রতিটি কাজই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কাজের ঝুঁকির বিচারে তাদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা খুবই সীমিত। একই সঙ্গে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা গৃহকর্মের নিয়োজিত থাকা শিশুদের জীবনের ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলেছে।সোমবার বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) এর উদ্যোগে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সুবিধাবঞ্চিত পথশিশু, শিশু গৃহকর্মী ও বস্তিতে বসবাসকারী শিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় এ সব তথ্য তুলে ধরা হয়।এএসডি’র নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম। এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর পরিচালক মোশাররফ হোসেন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন খানের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আব্দুস শহীদ মাহমুদ, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসী ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ন্যাশনাল অ্যাডভোকেসী কো-অর্ডিনেটর সাবিরা নূপুর, এএসডির প্রজেক্ট ম্যানেজার ইউকেএম ফারহানা সুলতানা প্রমুখ।সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন এএসডি’র উপ-নির্বাহী পরিচালক মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ২০১০ সালে খসড়া গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা গৃহীত হলেও তা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। ফলে গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুরা সম্পূর্ণ অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে থেকে শোষণ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম বলেন, সরকার প্রাথমিক শিক্ষায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে। সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে। শিশুদের জন্য মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই শিশুরা যে টাকার অভাবে পড়ালেখা করতে পারে না। এটা একদম একটা ভ্রান্ত ধারণা।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী একটা শিশুও যেন রাস্তায় না থাকে, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি জানার পরপরই আমরা বৈঠক করেছি। এ নিয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের দুইটি ওয়ার্ড নিয়ে প্রাথমিকভাবে কাজ করতে যাচ্ছি। এখানে শিশুরাও এগিয়ে আসতে হবে। সরকারও শিশুদের দিকে এগিয়ে আসছে। আমরা পথশিশুদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ সবার জন্য। সবাইকে নিয়ে একত্রে কাজ করলে আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবো। তবে আজকের ধারণাপত্রে শিশুদের ডিজিটাল সেবা দেয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট কোন প্রস্তাব দেয়া হয়নি। যদি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়া হয়, তবে আমরা এএসডির মাধ্যমে শিশুদের সেবা দেয়া চেষ্টা করবো।এমইউ/জেডএইচ/আরআইপি

Advertisement