রাষ্ট্রপতির অবসরভাতা, আনুতোষিক ও অন্যান্য সুবিধা বিল-২০১৫ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে সংবিধানের ৫ম সংশোধনী বাতিল ঘোষিত হওয়ায় প্রেসিডেন্টস পেনসনস অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯-এর কার্যকারীতা লোপ পায়। তারই প্রেক্ষিতে অধ্যাদেশটি পরিমার্জন করে নতুনভাবে এই বিল আনা হয়। এর আগে ২০১৩ সালে আইনি শূন্যতা সমাধানকল্পে এ সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়।স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন সংসদকার্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী।বিলে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি পদে থাকার পর রাষ্ট্রের সংযুক্ত তহবিল হতে বেতন বা অন্য সুবিধা গ্রহণকারী ব্যক্তি অবসর ও অন্যন্য সুবিধা লাভের অধিকারী হবেন না। এছাড়া অবসরভাতা লাভের পর আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হলে বা অসাংবিধানিক বা অবৈধ উপায়ে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন মর্মে সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করলেও কেউ অবসর ও অন্যান্য সুবিধা লাভের অধিকারী হবেন না।রাষ্ট্রপতি পদে ৬ মাস দায়িত্ব পালন করলে তিনি আমৃত্যু অবসরভাতা ও অন্যান্য সুবিধা লাভের অধিকারী হবেন। যার পরিমাণ হবে রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রাপ্ত মাসিক বেতনের ৭৫ শতাংশ। এছাড়া সাবেক রাষ্ট্রপতিরা রাষ্ট্রীয় খরচে একজন ব্যক্তিগত সহকারী, একজন অ্যাটেন্ডেন্টসহ একটি দফতর পরিচালনার সুবিধা পাবেন। বাসায় একটি টেলিফোন ও টেলিফোনের বিল রাষ্ট্র নির্বাহ করবে। তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্ট লাভ করবেন এবং মন্ত্রীর সমমর্যদায় চিকিৎসা সুবিধা পাবেন।এছাড়া বৈঠকে সংসদে ‘উন্নয়ন সারচার্জ ও লেভী (আদায় ও আরোপ) বিল, বাংলাদেশ কয়েনজ সংশোধন বিল, ট্রেডমার্ক সংশোধন বিল, পোর্টস (সংশোধন) বিল ও গণকর্মচারী (বিদেশি নাগরিকের সঙ্গে বিয়ে) বিল ২০১৫ সম্পর্কে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট উত্থাপন করা হয়।এইচএস/একে/আরআইপি
Advertisement