ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) নতুন নির্বাচনের যে দাবি জানিয়েছে তা কতটুকু সংবিধান সম্মত তা জানতে চেয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। জাতীয় সংসদে সোমবার অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এ প্রশ্ন রাখেন তিনি। রওশন এরশাদ বলেন, দেশে যখন দুই বিদেশিকে হত্যা করা হয়েছে এবং তাজিয়া মিছিলে বোমা মারা হয়েছে। ঠিক সে সময় টিআইবির মত একটি বিদেশি সংস্থা একটি রিপোর্ট দিল। তাদের কর্মকাণ্ড হলো জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। কিন্তু সেখানে তারা দশম জাতীয় সংসদকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। নতুন নির্বাচন দাবি করছে। সেটা কতটুকু সংবিধান সম্মত? তাদের কর্মক্ষেত্রের বাহিরে কেন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে?বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, এর আগে সংসদে বিরোধী দলের সদস্যরা ফাইল ছোড়াছুড়ি করেছিল, নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষায় বর্ণনা করেছিল। এমনকি তারা প্রয়াত নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে ছাড়েনি। কিন্তু আমরা বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করছি, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করছি, জনগণের সমস্যার কথা বিস্তারিত বলছি। খাদ্যে ভেজাল নিয়ে সংসদে সোচ্চার ছিলাম। আর সে প্রেক্ষাপটে খাদ্য ভেজাল বিরোধী আইনও পাশ করেছে সরকার। সে আইনের প্রেক্ষিতে প্রতিনিয়ত ভেজাল বিরোধী অভিযান চলছে। সেখানে আমাদের কথিত বিরোধী দল বলা কতটুকু সমীচীন হয়েছে সেটাই প্রশ্ন?রওশন বলেন, আমরা জানি প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার অংশ জনগণ। আর জনগণের প্রতিনিধিরাই সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে। তাই প্রকারন্তে জনগণকেই হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। গত নির্বাচনে প্রতিটি দলকে অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল সর্বদলীয় সরকার গঠনের। সেখানে অনেক দল এসেছিল, আবার কিছু দল আসেনি। যারা আসেনি তাদের জন্য সংবিধান, দেশ ও নির্বাচন বসে থাকবে না। তাই নির্বাচন হয়েছে।তিনি বলেন, টিআইবির মত সংস্থা আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। তাদের আমরা আসতে বলেছিলাম, তারা এসেছিলও। কিন্তু গিয়ে আমাদের কথিত বিরোধী দল বলছে। গত নির্বাচনের আগে যখন দেশের রাজনীতিবিদ ও জনগণকে হয়রানি করা হচ্ছিল, হরতাল, অবরোধ, পেট্রলবোমায় মানুষকে মারা হচ্ছিল তখন তো তারা কোনো কথা বলেনি। তারা চুপ ছিল। রওশন বলেন, টিআইবি একটি বড় সংগঠন। এখানে অনেক শিক্ষিত ব্যক্তি রয়েছে। তারা কি করে এমন উক্তি করেন? তাদেরকে বলবো আপনারা সবগুলো সংসদের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখেন।এইচএস/একে/আরআইপি
Advertisement