‘স্যার, আমার বাড়িতে রান্না করার জন্য পেঁয়াজ ছিল না। রান্না করার জন্য এক কেজি পেঁয়াজ দরকার ছিল। পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় আমি হোটেলে চুরি করতে যাই। আমি সত্যিকারের চোর না।’
Advertisement
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত চত্বরে এভাবে কান্না করছিলেন ১৬ বছরের এক কিশোর। চুরি করার অপরাধে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ তাকে সোমবার আটক করে। আজ আদালতে হাজির করে তাকে কিশোর সংশোধন আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম তাকে গাজীপুরের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওই কিশোর বলেন, ‘আমি এক হোটেলের কর্মচারী। মোহাম্মদপুর এলাকায় থাকি। বাসায় রান্না করার জন্য পেঁয়াজ ছিল না। পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় হোটেলে এক কেজি পেঁয়াজ চুরি করতে যাই। আমি সত্যিকারের চোর না।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) সাহিদুল ইসলাম গ্রেফতার কিশোরকে আদালতে হাজির করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আসামি কিশোর অপরাধী। সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে বাদী শাহেদ কামালের মোহাম্মদপুর থানার শেরশাহ সূর রোড়ের দ্বিতীয় তলায় ‘গার্ডেন রেস্টুরেন্ট’ এর পিছনের দিক দিয়ে তার কেটে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় সে রান্নাঘর হতে মালামাল চুরি করার চেষ্টার সময় টের পেয়ে চোর বলে চিৎকার করলে পালানোর সময় তাকে আটক করা হয়। আটকের সময় সে সামান্য জখমপ্রাপ্ত হয়। তাকে জখম অবস্থায় আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনাস্থলে চুরি করার জন্য জন্য প্রবেশ করেছে বলে স্বীকার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কিশোর অপরাধীকে কিশোর সংশোধনাগারে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।
Advertisement
জেএ/জেএইচ/এমএস