সিলেটে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বেশকিছু অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎহীন সিলেট মহানগরে সন্ধ্যার পর ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
Advertisement
এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় মোমবাতির চাহিদা বেড়েছে। ফলে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। জেনারেটরের লাইন থাকা দোকানপাটে মোবাইল চার্জের জন্যও ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত গুণতে হচ্ছে। অনেক বাসাবাড়িতে পানি না থাকায় বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা।
নগরীর ব্যবসায়ীরা জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় মোমবাতির চাহিদা বেড়েছে। প্রতি প্যাকেট মোমবাতি ৩০ টাকার স্থলে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকে অনেকে ৫-৭ প্যাকেট করে মোমবাতি কিনছেন অনেকে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। তবে সুনামগঞ্জ ও ছাতকে বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।
Advertisement
বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি) সিলেটের ইনচার্জ মোস্তাকিম বিল্লাহ জানান, সন্ধ্যার পর সুনামগঞ্জ ও ছাতকে বিকল্প ব্যবস্থায় ফেঞ্চুগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে সিলেট নগরী ও আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কখন স্বাভাবিক হবে তা বলা যাচ্ছে না।
বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোকাম্মেল হোসেন জানান, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে কারণে প্রায় তিন লক্ষাধিক গ্রাহক দুর্ভোগে পড়েছেন। বিপর্যয় কাটাতে উপকেন্দ্রের লোকজনও কাজ করছেন।
সামির মাহমুদ/এএইচ/এমএস
Advertisement