জাতীয়

গৃহায়ণ কলোনির ৩৬ জন ফ্লাট পেলেন

লালমাটিয়ায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কলোনির ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ জন ফ্ল্যাট পেয়েছেন। এখানে মোট ১১৪টি পরিবারকে পুনর্বাসন করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।এ লক্ষে লালমাটিয়া নিউকলোনি মাঠে সোমবার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।জানা গেছে, প্রায় ৪০বছর পূর্বে নির্মিত জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের তিনতলা এসব বাসায় বরাদ্দ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত অনেকে বসবাস করে আসছে। এসব ভবন ভেঙে এখানে বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে এখানকার বাসিন্দাদের জন্য এ এলাকাতেই পৃথক বহুতল ভবন নির্মাণ করে তাদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিতদের জন্য নির্মিতব্য ১০০০ ও ৮০০ বর্গফুটের এসব বাসার প্রতিবর্গফুটের মূল্য ধরা হয়েছে চার হাজার ২৫০ টাকা। বরাদ্দপ্রাপ্তরা কিস্তিতে ২০ বছরে এ মূল্য পরিশোধ করবে।লালমাটিয়া নিউকলোনি মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে সরকার বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ করছে। আমাদের দেশে জমির পরিমাণ কম, কিন্তু জনসংখ্যা বেশি। তাই এ মুহূর্তে বহুতল ভবনের বিকল্প নেই। যারা গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের এসব পুরাতন ভবনে বসবাস করছেন, তারা অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারি জায়গার ভাড়াটিয়া হওয়া সত্ত্বেও অত্যন্ত সহজ শর্তে অনেক কমমূল্যে তাদেরকে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। দারিদ্র্য দূরিকরণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, কৃষি, মৎস্য, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করছে সরকার। আবাসন খাতের মত মৌলিক চাহিদার খাতেও দেশ এগিয়ে চলছে।জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (ভূমি) আজহারুল ইসলাম, স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার হাবিবুর রহমান মিলন ও লালমাটিয়া নিউকলোনি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান উজ্জ্বল।এসএ/একে/আরআইপি

Advertisement