যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ব্রিজ। তবে ব্রিজ নির্মাণ হলেও দুইপাশে নেই চলাচলের রাস্তা। এতে ব্রিজের সুবিধা পাচ্ছেন না হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার লালপুর, নিধনপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। সেতুটি এখন এলাকাবাসীর কাছে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নের লালপুর নিধনপুর গ্রামে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। গ্রামের মধ্যদিয়ে বয়ে গেছে একটি খাল। খালটির ওপরে ছিল না কোনো ব্রিজ। চলাচলের সুবিধার্থে স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন। এতে চলাচলে জীবনের ঝুঁকি ছিল।
স্থানীয়দের এই দুর্ভোগ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। পরে শুরু হয় ব্রিজের কাজ। ব্রিজের কাজ শেষ হলেও ব্রিজের গোড়ায় মাঠি না থাকায় প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজটি জনগণের কোনো কাজে আসছে না।
স্থানীয় রজব আলী, আব্দুল আউয়ালসহ কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, রাস্তার সামান্য জায়গা ভাঙা। ব্রিজের গোড়ায় মাটি ভরাট করে দিলে আমাদের অন্য রাস্তা ঘুরে যাওয়া লাগতো না। বিষয়টি কয়েকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো লাভ হয়নি।
Advertisement
স্থানীয় বাসিন্দা রুনা আক্তার নামে এক গৃহিণী বলেন, ‘আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের নামে নাটক চলছে। এ ব্রিজ নির্মাণের আগে নৌকা/বাঁশের সাঁকো দিয়ে যেভাবে খাল পার হয়েছি, এখনো সেভাবেই পার হতে হচ্ছে। কারণে ব্রিজের পাশে মাঠি নেই।’
ছাত্রনেতা আজিজ সিদ্দিকী জানান, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সাধারণ গ্রামবাসীর প্রাণের দাবি ছিল খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণ। ব্রিজ নির্মাণের সেই দাবি পূরণ হলেও পারাপারের সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজটি কোনো কাজেই আসছে না। এর ফলে স্থানীয় রোগী, শিক্ষার্থী আর ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা চরম দুর্ভোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে বাহুবল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আশিষ কর্মকার বলেন, ‘ফান্ডের স্বল্পতার কারণে ব্রিজের গোড়ায় মাঠি দেয়া সম্ভব হয়নি। ব্রিজের নিচের পানি কমলেই স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মাঠি ভরাট করে ব্রিজটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।’
কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/এসআর/এমকেএইচ
Advertisement