প্রবাস

কানাডায় করোনায় ফেডারেল সরকারের সহায়তা অব্যাহত

কানাডায় করোনা মহামারির শুরু থেকেই ফেডারেল সরকার দেশটির নাগরিকদের স্বাস্থ্যের দিক বিবেচনা করে একের পর এক প্রণোদনা দিয়ে আসছে। শুধু তাই নয় ব্যবসা বাণিজ্যেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দেয়া হচ্ছে প্রণোদনামূলক ঋণ।

Advertisement

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রদেশের প্রিমিয়ারদের উদ্দেশে বলেছেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জনস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে প্রয়োজনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। প্রয়োজনে ফেডারেল সরকার সহায়তা দেবে।

করোনা প্রাদুর্ভাবের পর জরুরি অর্থ সহায়তার অংশ হিসেবে কানাডার মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশকে প্রতিমাসে জরুরি নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছে সরকার। সম্প্রতি মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলো ও নিম্নবিত্ত জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য অন্টারিওকে ৬১৪ মিলিয়ন ডলার নতুন তহবিলের বরাদ্দ দিয়েছে কানাডার ফেডারেল সরকার। এই অর্থ দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থান বিষয়ক কাউন্সেলিং-এর জন্য ব্যয় করা হবে।

উল্লেখ্য, কানাডায় মহামারির দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে না, বরং উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। বিভিন্ন প্রদেশে ক্রমবর্ধমানহারে করোনাভাইরাস বেড়েই চলেছে। সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি, সরকার কর্তৃক বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেয়া সত্ত্বেও ভাইরাসকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রিত করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন প্রদেশের বাসিন্দারা আশঙ্কার মধ্য দিয়ে দিন যাপন করছেন।

Advertisement

কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ অনটারিও, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা এবং কুইবেকে নাটকীয়ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ব্যাপকহারে চাপ পড়ছে।

অন্টারিওর বিভিন্ন সিটি ইতোমধ্যে রেড জোনের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। যেখানে সীমিতসংখ্যক লোকজনের চলাচল এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।

কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. থেরেসা ট্যাম সতর্ক করে বলেছেন, কানাডায় যে অনুপাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে করে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। বর্তমানে প্রতিদিনের গণনার তুলনায় তা দ্বিগুণেরও বেশি।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৯৬ হাজার ৭৭ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১০ হাজার ৯ শত ৫৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৩৫ হাজার ৪০১ জন।

Advertisement

এমআরএম