পাবনা সদর উপজেলার দোগাছি গ্রামে পলি খাতুন (২০) নামের এক গৃহবধূ এবং তার ১০ মাসের শিশু সন্তানের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পলির শাশুড়ি নাজমা বেগমকে (৫০) আটক করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে পাবনা থানা পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে। নিহত পলি খাতুন সদর উপজেলার মাদারবাড়িয়া গ্রামের মৃত খোকন প্রামানিকের মেয়ে এবং একই উপজেলার দোগাছি পশ্চিমপাড়া বাঁশবাজার গ্রামের জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হাসান জাগো নিউজকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, দোগাছি পশ্চিমপাড়া বাঁশবাজার গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে জালাল উদ্দিনের সঙ্গে ৩ বছর আগে মাদারবাড়িয়া গ্রামের মৃত খোকন প্রামানিকের মেয়ে পলি খাতুনের বিয়ে হয়। ইতোমধ্যে তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। ছেলের নাম রাখা হয় জুবায়ের হোসেন। এখন জুবায়েরের বয়স মাত্র ১০ মাস। ওসি আরো জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চৌকির উপর মরদেহ দুটি পায়। এ সময় পলির স্বামী, শ্বশুরসহ কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। শুধু পলির শাশুড়িকে পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের সময় তাকে আটক করে নিয়ে আসে। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাজমা বেগম মা ছেলের মৃত্যুর ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানে না বলে পুলিশকে জানান। পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আব্দুল কুদ্দুস জাগো নিউজকে জানান, পলির স্বামী ও শ্বশুর প্রতিবেশীদের কাছে পলি ছেলেকে মেরে নিজে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ওসি কুদ্দুস বলেন, ঘটনাটি রহস্যজনক বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা, পলির ঘরে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করার মত কোনো অবস্থা পরিলক্ষিত হয়নি। কাজেই ঘটনাটির রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা করা হচ্ছে। মরদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। একে জামান/এসএস/পিআর
Advertisement