দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা ইমরুল কায়েস এবং শেষ দিকে নাসির হোসেনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়েকে ২৪২ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে কোনো বড় জুটি গড়তে না পারায় এদিন বড় স্কোর গড়তে পারেনি টাইগাররা।সোমবার দুপুরে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশ দলকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায় জিম্বাবুয়ে দলের অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা। এদিন তামিম ইকবালের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে নামেন ইমরুল কায়েস। প্রায় আটমাস পর ওয়ানডে দলে খেলতে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেন এই ওপেনার জুটি।ইনিংসের সপ্তম ওভারে দলীয় ৩২ রানে পানিয়াঙ্গারার বলে চিবাভার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম (১৯)। চার ওভার পর লিটন দাসকে হারায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ৭ রান করে পানিয়াঙ্গারার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন। এরপর ইমরুলের সঙ্গে ব্যাটিং করতে নামেন মাহমুদউল্লাহ(৪)। তবে ক্রেমারের করা ১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে উইকেটরক্ষক চাকাভার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান দলের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান।এরপর আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান, দেশে সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ইমরুল। তবে ২৮তম ওভারে ক্রেমারের বল ড্রাইভ করতে গেলে তা ব্যাটের কানায় লেগে শর্ট থার্ডম্যানে চলে যায়। উড়ে আসা বল তালুবন্দী করতে কোনো ভুল করেননি জংউই। আউট হবার আগে ২৮ বলে ২১ রান করেন মুশফিক। মুশফিকের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি ইমরুল। আশা জাগিয়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। শেন উইলিয়ামসের ফুলটস বল লং অফে ফিল্ডারের মাথার উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন এই ওপেনার। কিন্তু ব্যাটে বলে ঠিকভাবে সংযোগ না হওয়ায় ক্রেমারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। আউট হবার আগে দলের হয়ে মূল্যবান ৭৬ রান সংগ্রহ করেছেন এই টাইগার। ৮৯ বলে ৬টি চার এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন তিনি।ইমরুলের বিদায়ের পর ইনিংসের হাল ধরেন সাব্বির রহমান এবং নাসির হোসেন। তবে দলীয় ১৯৩ রানে জংউইর আফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন সাব্বির। ৪০ বল মোকাবেলা করে ৩৩ রান করেন এই নবীন তারকা। এরপর অধিনায়ক মাশরাফি ১৩ রান যোগ করে মুজারাবানির বলে বিদায় নেন।এক প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে দলকে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখান নাসির। তবে মিড উইকেটের উপর দিয়ে সিমানা পার করতে গিয়ে আরভিনের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হলে কার্যত শেষ হয়ে যায় সে স্বপ্ন। ৫৩ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৪২ রান করেন নাসির। শেষদিকে আর কেউ রান করতে না পারলে ২৪১ এ শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। জিম্বাবুয়ের পক্ষে পানিয়াঙ্গারা নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।আরটি/এমআর
Advertisement