জাতীয়

এক সপ্তাহে কমেছে মৃত্যু, বেড়েছে নমুনা পরীক্ষা শনাক্ত ও সুস্থতা

দেশে গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার কমেছে। অপরদিকে নমুনা পরীক্ষা, শনাক্ত ও সুস্থতার হার বেড়েছে।

Advertisement

৪৫তম সপ্তাহে (১ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১২৬ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ৪৬তম (৮ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত) সপ্তাহে মৃত রোগীর সংখ্যা ১২৪ জনে নেমে এসেছে। অর্থাৎ ৪৫তম সপ্তাহের তুলনায় ৪৬তম সপ্তাহে মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ কমেছে।

শনিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৪৫তম সপ্তাহে ৯৩ হাজার ৫৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে ১১ হাজার ৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ওই সপ্তাহে ১২ হাজার ৪২৩ জন সুস্থ হয়ে ওঠেন। ৪৬তম সপ্তাহে ৯৭ হাজার ২৯২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে ১১ হাজার ৭৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আর ১১ হাজার ২৮১ জন সুস্থ হয়ে ওঠেন।

Advertisement

৪৫ ও ৪৬তম সপ্তাহের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার হার ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ, শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ শনাক্ত এবং সুস্থতার হার ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১৪ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১০ জন ও নারী ৪ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ হাজার ১৭৩ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৫৩১ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪ লাখ ৩০ হাজার ৪৯৬ জনে।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৪৬২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৮৪৯ জন।

Advertisement

সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১১৫টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১১ হাজার ৫৭৭টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৭৯৫টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৫ লাখ ২৭ হাজার ১৩৪টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ১২ দশমিক শূন্য ৯৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক শূন্য ০৩ শতাংশ, শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৮০ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।

এমইউ/এফআর/জেআইএম