১৯৯৮ সালে আফ্রিকায় দুটি মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলার মূলহোতা আল কায়েদার সেকেন্ড ইন কমান্ড আব্দুল্লাহ আহমেদ আব্দুল্লাহকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি গুপ্তচরেরা। গত আগস্টে তাকে ইরানের রাজধানী তেহরানে বসে গুলি করে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে কাজ করা ইসরায়েলি এজেন্টরা। খবর- নিউইয়র্ক টাইমস।
Advertisement
নিহত জঙ্গি আব্দুল্লাহ আবু মুহাম্মাদ আল-মাসরি নামেও পরিচিত ছিল। দুজন মোটরসাইকেল আরোহী তাকে গুলি করে।
প্রসঙ্গত, নিহত আল-মাসরিকে আল কায়েদার বর্তমান নেতা আয়মান আল-জাওয়াহরির উত্তরসূরী বলে ভাবা হতো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশেই তাকে হত্যা করা হয় বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন চারজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
এই জঙ্গি নেতাকে হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা স্পষ্ট না হলেও আল-মাসরিসহ ইরানে অবস্থানরত আরও কয়েকজন আল-কায়েদা নেতাকে বেশ কয়েক বছর ধরে খুঁজছিল যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
Advertisement
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কোনো বিস্তারিত তথ্য দিতে রাজি হননি। আর এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মেয়েসহ আল-মাসরি নিহত হয়েছে। তার মেয়ে ছিল ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেনের বিধবা স্ত্রী।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে এক মার্কিন অভিযানে নিহত হয় আল-কায়েদার সাবেক শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেন।
এফবিআই-এর ‘মোস্ট ওয়ান্টেড টেরোরিস্ট’ তালিকায় ছিল আল-মাসরির নাম। কেনিয়া ও তানজানিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে বোমা হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল সে। ওই দুটি ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২২৪ জন মানুষ এবং আহত হয়েছিলেন কয়েকশ।
Advertisement
এসএস/পিআর