দিয়েগো ম্যারাডোনার মদপানের ইতিহাস খুব একটা ছোট নয়। বহু পুরনো। মদপানের কারণে তাকে ১৯৯৪ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলতে দেয়া হয়নি। মদ পানের কারণে অসুস্থ হওয়ার ফলে তাতে কত বার যে হাসপাতালে যেতে হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই।
Advertisement
এবার মস্তিষ্কে রক্ত জমে যাওয়ার কারণে তাকে আবারও হাসপাতালে যেতে হয় এবং সেখানে অস্ত্রোপচার করা হয় তার মস্তিষ্কে। সে অবস্থা থেকে বেশ ভালোভাবেই ফিরে এসেছেন ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। এখন অনেকটাই সুস্থ তিনি।
কিন্তু ম্যারাডোনাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নয়, পাঠানো হলো পূণর্বাসন কেন্দ্রে। বুয়েন্স আয়ার্সের এক রিহ্যাব সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে। কারণ, দিয়েগো ম্যারাডোনার অতিরিক্ত অ্যালকোহল নির্ভরতা কমাতে চান তার চিকিৎসক লিপোলদো লুক। সে জন্যই আপাতত রিহ্যাবে রাখা হচ্ছে তাকে।
ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত মদ পানের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এর আগে বহুবার অতিরিক্ত নেশার সামগ্রী গ্রহণ করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। যার জেরে বহুবার অসুস্থও হয়েছেন আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি। বহুবার আইনি জটিলতায়ও পড়তে হয়েছে। তবু মাদক নির্ভরতা কমাতে পারেননি ফুটবলের রাজপুত্র। তাই শেষমেশ তাকে রিহ্যাবে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিলেন তার চিকিৎসক লুক। তিনি বলছিলেন, ‘আমাদের সবসময় তার স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে হচ্ছে। বিশেষ করে এখন।’
Advertisement
উল্লেখ্য, নিজের ৬০তম জন্মদিন পালনের কয়েকদিন পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ম্যারডোনা। তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, ম্যারাডোনা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে। তার শরীরে করোনার প্রভাবও রয়েছে। সে সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে তার চিকিৎসক লিপোলদো লুক জানান, ম্যারাডোনার শরীরে করোনার কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তিনি হৃদরোগেও আক্রান্ত হননি। তার অসুস্থতা ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসলে বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক সমস্যায় ভুগছেন তিনি। তাকে গ্রাস করেছে অবসাদ। যার প্রভাব পড়ছে তার শরীরের ওপরও।
পরে জানা গেলো, তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। লা প্লাতার এক বিশেষায়িত ক্লিনিকে অস্ত্রোপচার করা হয় ম্যারাডোনার। এরপর থেকে হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন ফুটবল রাজপুত্র। তার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগে ছিল গোটা বিশ্বের ফুটবল মহল।
লা প্লাতার সেই হাসপাতালের বাইরে রোজ জড়ো হতেন অনুরাগীরা। অবশেষে বুধবার হাসপাতাল থেকে রিহ্যাব সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দিয়েগোকে। চিকিৎসকদের দাবি, এখন অনেকটাই সুস্থ তিনি। তবে তার অ্যালকোহল নির্ভরতা ছাড়ানো প্রয়োজন।
আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement