জাতীয়

অটোরিকশার নৈরাজ্য বন্ধে যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রস্তাবনা

অটোরিকশার নৈরাজ্য বন্ধে যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রস্তাবনা

অটোরিকশার নৈরাজ্য এবং যাত্রী হয়রানি বন্ধে কয়েকটি প্রস্তাবনা দিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত ‘সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া ও দৈনিক জমা বৃদ্ধি : বাস্তবতা, নৈরাজ্য বন্ধে করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।বৈঠকে, নৈরাজ্য বন্ধে প্রত্যক অটোরিকশায় গাড়ি নম্বর, ভাড়ার বিস্তারিত হার, দৈনিক জমার হার, মালিক-চালক, ট্রাফিক পুলিশ, এবং বিআরটিএ’র অভিযোগ জানানোর ফোন নম্বরসহ একটি ছোট সাইনবোর্ড চালকের পিছনে যাত্রীর সামনে টাঙানোর প্রস্তাব দেয়া হয়।গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা বলেন, অটোরিকশা মালিকদের বার বার ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ও যাত্রীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য গত ১৩ বছরে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা হয়নি। কিন্তু ‘সিএনজি/পেট্রোলচালিত ৪ স্টোক থ্রি হুইলার সার্ভিস নীতিমালা ২০০৭ এ যাত্রী সাধারণের জন্য যে সব সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সে সবের কোনটিও বাস্তবায়ন হয় নি।সরকার ঢাক ও চট্রগ্রাম মহানগরীতে  ২০০১ সালে স্থির করা সিলিং ১৩ হাজরে সীমাবদ্ধ রাখার কারণে এ নৈরাজ্য বন্ধ হচ্ছে না’ জানিয়ে বক্তারা বলেন, ঢাকায় প্রতিদিন প্রাইভেট গাড়ি নিবন্ধন দেয়া হলেও গত ১২ বছরে নতুন করে কোনো অটোরিকশা নিবন্ধন না দেয়ার কারণে চালকদের ইচ্ছার কাছে যাত্রী সাধারণ জিম্মি হয়ে পড়েছে।অটোরিকশা নৈরাজ্য বন্ধে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে আরো কিছু প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। প্রস্তাবনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:এক. চাহিবা মাত্র চালকরা বিনা প্রশ্নে যাত্রীদের পছন্দের গন্তব্যে যাতায়াত নিশ্চিত করতে হবে।দুই. মিটারে চলাচল নিশ্চিত করতে হবে পাশাপাশি মিটার ছাড়া বকশিস বন্ধ করতে হবে।তিন. বিআরটি’এ এবং ট্রাফিক পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে যৌথভাবে অটোরিকশা শৃঙ্খল ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।চার. প্রাইভেট অটোরিকশা ও ঢাকা জেলার অটোরিকশা নগরীতে চলাচল বন্ধ করতে হবে।পাঁচ. অটোরিকশা সিলিং বৃদ্ধি করে ঢাকা মহানগরীতে ৫ হাজার ও চট্রগ্রাম মহানগরীতে ২ হাজার নির্ধারণ করতে হবে।সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বিআরটি’এর যুগ্ম সচিব শওকত আলী, অ্যাডিশানাল ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার, সিপিবি নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি প্রমুখ।এএস/এসকেডি/পিআর

Advertisement