জেলহত্যা দিবস ও জাতীয় ৪ নেতার স্মরণে জার্মান আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বাংলাদেশ ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
Advertisement
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জার্মান আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুম মিয়া। সভা পরিচালনা করেন যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খালেদ ও কারিগরি সহায়তা করেন অমিত মজুমদার ও সেলিম ভূঁইয়া।
প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান। প্রধান বক্তা ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাবেক সদস্য কামাল উদ্দিন আহাম্মেদ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রফেসর আবুল হাসেম, জার্মান আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা আনোয়ারুল কবির, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহাম্মেদ, ইতালি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল।
Advertisement
এছাড়াও জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, হাফিজুর রহমান আলম, মিজানুর হক খান, মাবু জাফর স্বপন, মাহফুজ ফারুক, নুরজাহান খান নুরি, হাকিম টিটু বক্তব্য দেন।
সভায় আরো বক্তব্য দেন, জার্মান আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোবারক আলী ভূঁইয়া বকুল, নূরে আলম সিদ্দিকী রুবেল, রোমান মিয়া, নোমান হামিদ ও কাজী মওদুদ রংকু, বার্লিন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ হেসেন, হেসেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন রিচার্ড, নর্দ রাইন-ভেস্টফালেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর আলম, বায়ার্ন মিউনিখ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, রানা ভূঁইয়া, বাপ্পি তালুকদার, সূর্য কান্ত ঘোষ, মো. কুদ্দুস আলী, সাইয়েদুর রহমান, ইকবাল আহমেদ লিটন সহ আরো অনেকেই ।
বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি পরিকল্পিতভাবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করতে ১৯৭৫ সালের ৩ নবেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ ঘনিষ্ঠ সহচর, জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এমন জঘন্য, নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
সভার শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল সদস্য, স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদ ও কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা শহীদ জাতীয় চার নেতার বিদেহী আত্মার রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ পাকের দরবারে দোয়া প্রার্থনা করা হয়।
Advertisement
এমআরএম/জেআইএম