রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় ও আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ৩ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন রাসায়নিক সার কিনবে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৪৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯৯ টাকা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
পরে অনলাইনেই সভার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল।
তিনি জানান, বৈঠকে ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ৮টি ক্রয় প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে সবগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৫টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি, বিদ্যুৎ বিভাগের একটি এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ৮টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১৬ হাজার ২৭১ কোটি ৪৮ লাখ ৮০ হাজার ২৯২ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি হতে ব্যয় হবে ১৫ হাজার ৬২৮ কোটি ২১ লাখ ২৬ হাজার ৪৯৩ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ ৬৪৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৯ টাকা।
Advertisement
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে তিনটি লটে সৌদির বেসিক ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (এসবিআইসি) থেকে ১৬৮ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার টাকার ৭৫ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।’
এছাড়া বিসিআইসি আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের আরিস ফার্টিলাইজারস গ্রুপ পিটিই লিমিটেডের (স্থানীয় এজেন্ট- পোটন ট্রেডার্স) কাছ থেকে ২৫ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৬৬ কোটি ৮৩ লাখ ৬৫ হাজার ৩৬২ টাকা।
অপর এক প্রস্তাবে বিসিআইসির মাধ্যমে সুইস সিঙ্গাপুর ওভারসিজ এন্টারপ্রাইজ পিটিই লিমিটেডের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৬ কোটি ৮৬ লাখ ৬২ হাজার ৬৮৭ টাকা।
এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ও রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য এক লাখ ৮০ হাজার টন মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৩৪১ কোটি ৩৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
Advertisement
আরএমএম/এফআর/জেআইএম