জাতীয়

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণে আইন হচ্ছে

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ ও শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে ‘অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল অব বাংলাদেশ অ্যাক্ট-২০১৫’ নামে একটি আইনের খসড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত খসড়া আইনের ওপর মতামত নেয়া হবে। এরপর আইনটি চূড়ান্ত করে পাস করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র এসব তথ্য জানা গেছে।খসড়া আইনে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করার জন্য অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল গঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) আদলে এটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হবে। পরিচালনায় একজন চেয়ারম্যান, দুই জন পূর্ণকালীন সদস্য ও দুই জন অবৈতনিক সদস্য থাকবে। এছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত ২০ বছর অধ্যাপনা করছেন তাদের মধ্যে থেকে চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ দেয়া হবে।চেয়ারম্যান ও পূর্ণকালীন সদস্যদের মেয়াদ হবে ৪ বছর। পরপর দু`বারের বেশি কাউকে নিয়োগ দেয়া যাবে না। প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ শিক্ষার মান, পাঠক্রম ও গবেষণা পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের বিষয় যাচাই-বাছাই করে নতুন প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি দিবে। প্রতিষ্ঠানটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যসূচি যাচাই-বাছাই করে র্যাঙ্কিকও নির্ধারণ করবে।খসড়া আইনে আরও বলা হয়েছে, অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের অনুমোদন ছাড়া কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রসপেক্টস প্রকাশ করতে পারবে না। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের জন্য কাউন্সিলের কাছে অ্যাক্রিডিটেশন সনদের জন্য আবেদন করতে হবে। কাউন্সিলের কর্তাব্যক্তিরা সরজমিনে পরিদর্শন করে এর অনুমোদন দেবে। কাউন্সিলের শর্ত পূরণ হলে একটি সনদ দেয়া হবে। যার মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। শর্ত ভঙ্গ করলে সনদ বাতিল করা হবে। এছাড়া তথ্য গোপনের প্রমাণ পেলে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে আইনটিতে।প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সনদ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। ইউজিসির শর্ত ভঙ্গেরও অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কঠোর নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকার এ উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানা যায়।এনএম/আরএস/পিআর

Advertisement