‘জীবনটা ভালো থাকুক কে না চায়। কোনো মানুষই কখনো খারাপ থাকতে চায় না। আমিও না। সবকিছুই নতুন করে শুরু করতে চাই। বিয়ে নিয়ে আলাদা করে কোনো ভাবনা নেই। বিয়ে মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কিন্তু কথায় বলে না ভুল মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে ফেলি আমরা। জেনে শুনে বুঝে একজন ভালো মানুষের সঙ্গে নিজেকে জড়াতে চাই, যাতে করে আবার হোচট খেতে না হয়। সেই মানুষের দেখা পেলে বিয়ে করবো’- এভাবেই নিজের বিয়ে নিয়ে ভাবনার কথা জানান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী চিত্রনায়িকা সিমলা।
Advertisement
ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ১৯৯৯ সালে শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘ম্যাডাম ফুলি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। প্রথম সিনেমা দিয়েই দর্শক-সমালোচকদের মন জয় করেছিলেন। পেয়েছিলেন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। সেই সিমলার পরের গল্পটা কেমন যেন ম্লান।
আজ বুধবার (১১ নভেম্বর) এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘হয়তো যে ধরনের ছবি আমার করা উচিত ছিল আমি সে ধরনের ছবি পাইনি। তবে একেবারে ভালো সিনেমায় যে কাজ করিনি তাও নয়। আমি বেশকিছু সিনেমাকেই আমার ক্যারিয়ারের জন্য পজিটিভ হিসেবে দেখি। সেগুলো করে আমি নিজেও তৃপ্তি পেয়েছি, দর্শকও বিনোদিত হয়েছেন।’
‘মুম্বাই ছিলাম। ব্যক্তিগত কাজে। দেশে ফিরেছি দুই সপ্তাহ হলো। অনেক দিন গ্যাপ হয়েছে সিনেমার সঙ্গে। প্রায় পাঁচ বছর। আবার শুরু করতে চাই। কিন্তু আমি চাই বললেই তো হবে না। আমাকে কাজেও তো নিতে হবে। কাজই তো নেই। তাছাড়া ভালো নির্মাতা ও ভালো গল্পের সিনেমা না হলে অভিনয় করবো না। ভালো কাজ না পেলে শুধু শুধু করে লাভ কী’- অভিনয়ে নিয়মিত হবেন কী না তার জবাব দিলেন সিমলা।
Advertisement
এই অভিনেত্রীর নতুন একটি চলচ্চিত্র ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’। এটি মুক্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখানে তিনি ‘ঘেটুপুত্র কমলা’র অভিনেতা মামুনের সঙ্গে অসম প্রেমের গল্পে জুটি হয়েছেন। ছবিটির প্রথম পোস্টার মুক্তি পেয়েছে ৯ নভেম্বর। সেটি বেশ আলোচনায় এসেছে। এই ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতার ব্যাপারে জানতে চাইলে সিমলা জাগো নিউজকে বলেন, “কাজের অভিজ্ঞতা ভালো ছিল। গল্পটা তো সুন্দর। তবে ছবিটি যে মুক্তি পাচ্ছে সেটি আমি জানতাম না। আমাকে ছবির পরিচালক বা কেউ বলেওনি। গতকাল নিউজে দেখলাম ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ মুক্তি পাচ্ছে। এটা অবশ্যই আনন্দের।”
ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সবাই জানেন আপনি দেশে নেই। এজন্যই হয়তো ছবির পরিচালক রুবেল আনুশ আপনাকে জানায়নি বিষয়টি। মিষ্টি হেসে সিমলা বলেন, ‘আপনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলেন কীভাবে? গতকালও একটি গণমাধ্যমে কথা বলেছি, তারা আমাকে পেল কীভাবে? ইচ্ছেটা থাকতে হয়। তবে আপনি যে বিষয়টি বললেন সেটাও আমি উড়িয়ে দিচ্ছি না। বিদেশে ছিলাম অনেক দিন, হয়তো সবাই জানে এখনো তাই আছি। হতে পারে। কিন্তু এখন জানাচ্ছি, আমি দেশেই আছি। দেশেই থাকবো। নিয়মিত অভিনয় করবো। এজন্য সবার সহযোগিতা ও ভালোবাসা চাই।’
বিয়ের প্রসঙ্গ আসতেই কেমন পাত্র পছন্দ সে বিষয়ে সিমলা বলেন, ‘এটা আসলে আমি পরিকল্পনা করিনি। বিয়েটা হলো ভাগ্যের ব্যাপার। আমি বললাম আর হয়ে গেল তা নয়। মনে মনে ভেবেছি যে ব্যাটে বলে মিলে এমন পাত্র পেলে বিয়ে করবো। পাত্র খুঁজছি। সে পাত্র কেমন হবে, কখন তাকে পাওয়া যাবে তা জানি না। ছোটবেলায় একটা কথা খুব শুনতাম, সেটাই বলতে চাই যে বিয়ের ফুল ফুটলে সেটা লুকানো যায় না।’
প্রসঙ্গত, বলিউডে কাজের স্বপ্ন নিয়ে দুই বছরের বেশি সময় ধরে তিনি মুম্বাই বসবাস করছিলেন। মুম্বাইয়ের মীরা রোডে ছিল সিমলার ঠিকানা। তিনি জানান, অনেক দিন ধরেই বাড়ি ফিরে আসতে চাইছিলেন। কিন্তু করোনার কারণে সে সুযোগ হচ্ছিল না। অবশেষে অবস্থা খানিকটা স্বাভাবিক হওয়ায় মুম্বাই থেকে আকাশপথে বানারস হয়ে সেখান থেকে কলকাতা আসেন। কলকাতা থেকে সড়কপথে ঢাকায় পা রাখেন ঝিনাইদহের শৈলকূপার মেয়ে সিমলা।
Advertisement
এলএ/এমকেএইচ