যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ ও মৃৃত্যু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দেশটিতে একদিনেই ২ লাখেরও বেশি মানুষের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরও ২ লাখ ১ হাজার ৯৬১ জন।
Advertisement
দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২৩ লাখ ৮ হাজার ২৪৩। এর মধ্যে মারা গেছে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৫৮৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১ হাজার ৫৩৫ জন। গত কয়েক মাসের মধ্যে এটাই করোনা সংক্রমণে দৈনিক মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড। প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ লাখের বেশি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।
প্রথম থেকেই ট্রাম্প প্রশাসনের অবহেলার কারণে করোনা পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ট্রাম্পের পরাজয়ের অন্যতম কারণ মনে করা হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তার প্রশাসনের ব্যর্থতা।
Advertisement
যদিও নির্বাচনের আগে বিভিন্ন প্রচারণায় তাকে বলতে শোনা গেছে যে, করোনা নিজে থেকেই চলে গেছে। এমনকি তার সমর্থকদেরও মাস্ক পরতে দেখা যায়নি এবং তারা সামাজিক দূরত্বও মেনে চলেনি।
তবে প্রথম থেকেই করোনাকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন জো বাইডেন। নির্বাচনে তিনি ট্রাম্পকে হারিয়ে দিয়েছেন। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে হোয়াইট হাউসে বসার অপেক্ষা। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের আগেই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন যে করোনাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবে তার প্রশাসন।
এদিকে, করোনা মহামারিতে আশার আলো দেখিয়েছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিন। প্রতিষ্ঠানটির বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তাদের তৈরি ভ্যাকসিনে হয়তো মহামারির সমাপ্তি ঘটবে।
মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইলি লিলি অ্যান্ড কো.-এর একটি অ্যান্টিবডি থেরাপিতে ফাইজারের ভ্যাকসিনে অসাধারণ ফলাফল পাওয়া গেছে। এটি জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
Advertisement
নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিনের ৯০ শতাংশ কার্যকারিতা দাবি করেছে ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেক। ছয় দেশে ৪৩ হাজার ৫০০ জন মানুষের দেহে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চালিয়ে প্রাথমিকভাবে এমন ফল পাওয়া গেছে।
টিটিএন