বিনোদন

আরটিভির নতুন ধারাবাহিক খেয়া

আরটিভির নতুন ধারাবাহিক খেয়া

বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভিতে শুরু হচ্ছে আরো একটি নতুন ধারাবাহিক। এটি প্রচার হবে প্রতি সপ্তাহের সোম, মঙ্গল ও বুধবার রাত ৮ টা ২৯ মিনিটে। আজ সোমবার থেকে প্রচারে আসা এই নাটকের নাম ‘খেয়া’।আনিসুল হকের রচনা ও সকাল আহমেদের পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, আল-মনসুর, আফরান নিশো, তিশা, শর্মিলী আহমেদ, এস, এম, মোহসীন প্রমূখ।নাটকের গল্পে দেখা যাবে, ৫০ বছর বয়সী আবিদুর রশিদ একজন সাদামাটা ছাপোষা ভদ্রলোক। ১ ছেলে ও ১ মেয়ে, স্ত্রী ও বৃদ্ধ মাকে নিয়ে ছিমছাম নিম্নধ্যবিত্ত পরিবার। জীবনে চাওয়া-পাওয়া বলতে এখন তার ছেলে-মেয়ে। পেশা বলতে, মৃত মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের একটা দোকান, নাম -‘পারাপার ষ্টোর’। একমাত্র মেয়ে খুকু যেমন সুন্দরী, তেমনি মেধাবী, বুদ্ধিমতি। মেয়ে চায়না বাবা এই ব্যবসা করুক। যে কারণে মাঝেমধ্যেই বাবাকে আঘাত দিয়ে, খোঁচা দিয়ে কথা বলে ফেলে। পরিশেষে নিজেই কষ্ট পায়, আড়ালে লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদেও। আবিদুর রশিদের এটা পছন্দ না। মানুষ মরলে তার ব্যবসা। কিন্তু তার তো কিছু করারও নেই, এই দোকান দিয়েই সংসারটা কোনো রকম চলে। ব্যবসা বন্ধ করলে খাবে কি?রশিদ সাহেবের মেয়ে খুকু খুবই মেধাবী। সে বুয়েটে চান্স পেয়েছে। মেয়ের সাফল্যে আনন্দে আত্বহারা রশিদ সাহেব ও পরিবারের সবাই । খুকু ভর্তি হয় বুয়েটে, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। ভালোই চলছিলো সবই। কিন্তু একটা নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়ের পক্ষেতো বুয়েটে পড়া চাট্টিখানি কথা নয়, সেজন্য তো খরচ আছে। ভর্তি ফি, প্র্যাকটিকেলের জন্য একটা কম্পিউটারসহ আনুষঙ্গিক সব মিলিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার একটা ধাক্কা। চিন্তায় পড়ে যায় আবিদুর রশিদ। বাধ্য হয়ে গ্রামের বাড়িতে বাপ-দাদার রেখে যাওয়া জমিটুকুই শেষ ভরসা হয়ে দাড়ায়। কিন্তু এতে করে  তার মা খুব আঘাত পাবে, বৃদ্ধ বয়সে এই আঘাতটি তাকে দেয়া যাবেনা। অন্যদিকে মাকে না জানিয়ে সেটা করতেও বুক ফেটে যায় আব্দুর রশিদের। একেতো পৈতৃক ভিটা তার উপর এতোদিনের কেয়ারটেকার হামেদালীর সংসার টিকে আছে এই জমির উপর। উপায়ন্তর না দেখে চোখ অবশেষে তবু জমি বিক্রিরই সিদ্ধান্ত নেয় আবিদুর রশিদ। হামেদালীকেও ঠকানোর মানুষ নয় সে, কবরস্থানের ২ বিঘা জমি হামেদালীকে লিখে দিবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বাধ সাধে ভাইয়ের ছেলে আব্দুর রব, জমি বিক্রি করা যাবে না, বাপ-দাদার সম্পত্তি নিজেদের মধ্যেই রাখতে হবে। ঘটনার মোড় নেয় অন্যদিকে। এভাবেই এগিয়ে চলে এই নাটকের কাহিনী। এলএ/পিআর

Advertisement