জাতীয়

পণ্যের মানে খুশি, তবে করতে হয় অপেক্ষা

ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য তেল, চিনি, ডাল, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্য ট্রাকের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। তাদের খাদ্যপণ্যের মানে খুশি ক্রেতারা। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় নগরবাসীর অনেকেই সংসারের চাকা সচল রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাই তো অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে পণ্য কিনতে প্রতিদিন টিসিবির ট্রাকের অপেক্ষায় বহু পরিবার।

Advertisement

বিভিন্ন এলাকায় পণ্য সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় দীর্ঘক্ষণ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্যসামগ্রী কিনতে হলেও এতে নারাজ নন ক্রেতারা। তারা বলছেন, সরকারিভাবে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করার ফলে তাদের মতো সীমিত আয়ের লোকজন কিনতে পারছেন।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টিসিবির বিভিন্ন পণ্য- চিনি ও মসুর ডাল প্রতি কেজি ৫০ টাকা, সয়াবিন তেল (দুই ও পাঁচ লিটার) প্রতি লিটার ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রি হলেও ট্রাকে কেজিপ্রতি কত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে তা লেখা নেই।

রোববার (৮ নভেম্বর) সরেজমিন তোপখানা রোডের টিসিবির ট্রাকের সামনে গিয়ে দেখা যায়, টিসিবির ট্রাকের সামনে নারী ও পুরুষের দীর্ঘ লাইন। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অর্থাৎ একজনের কাছ থেকে আরেকজনের তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখার কথা বারবার বলা হলেও জেনে কিংবা নাজেনে কেউ এ বিষয়ে ভ্রূক্ষেপ করছেন না। শরীর ঘেষে লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কেনার অপেক্ষা করছেন। এ সময় ক্রেতাদের অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক দেখা যায়।

Advertisement

রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকার বাসিন্দা মধ্যবয়সী সাহারা খাতুন সকাল ৯টা থেকে টিসিবির ট্রাকের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর পণ্য কিনতে পেরে তিনি জানান, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তার স্বামী চাকরি করেন। তার একার আয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। অপেক্ষাকৃত স্বল্পমূল্যে পণ্য কিনতে পারায় কিছু টাকা সাশ্রয় হয়। তাছাড়া পণ্যের মানও ভালো বলে তিনি জানান। আরও অনেক ক্রেতা একই ধরনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন।

এমইউ/এআরএ/পিআর