গুলশান-১ সংলগ্ন গুদারাঘাট হয়ে লেকপাড় রাস্তার দুই ধারে ফাস্টফুডসহ মুখরোচক নানা খাবারের দোকান। বিকেল থেকে রাত অবধি চলে জমজমাট বেচাকেনা। হাতিরঝিলের পানির উপরে ফুটপাত ঘিরে গড়ে উঠা এসব ফাস্টফুড-মুখরোচক খাবারের দোকানে থেকে নানা রকম খাবারের উচ্ছিষ্টসহ যাবতীয় ময়লা ফেলা হচ্ছে ঝিলের পাড়ে। সেগুলো পরিণত হচ্ছে ময়লার স্তুপে, পরে পানি মিশে প্রতিনিয়ত দূষিত করছে হাতিরঝিলের পানি।
Advertisement
এছাড়া যারা নিয়মিত হাতিরঝিলের পথ ধরে অথবা ওয়াটার ট্যাক্সিতে চলাচল করেন তাদের কাছে হাতিরঝিলের পানির দুর্গন্ধ পরিচিত বিষয়। হাতিরঝিল লেকের পানির দুর্গন্ধ দূর করতে ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ৪৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয় একনেক। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ওই বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। পরে আরও এক বছরের জন্য প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, এটি বাস্তবায়ন হলে হাতিরঝিলের পানি দুর্গন্ধ ও দূষণমুক্ত হবে। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি রাজউকের।
রাজউকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ প্রকল্পের কাজ ভালোভাবেই চলছিল। কিন্তু করোনার কারণে বিদেশি পরামর্শকরা নিজ দেশে ফিরে যায়। ফলে কাজ বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। ফলে প্রকল্পে কিছুটা ধীরগতি দেখা দেয়।
Advertisement
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হাতিরঝিলের পানি নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ কাওরান বাজার, পান্থপথ, ধানমন্ডি, কলাবাগান, কাঁঠালবাগান ও বাংলামোটরসহ এসব এলাকার বর্জ্য সোনারগাঁও হোটেলের পেছনের অংশ দিয়ে হাতিরঝিলে পড়ে। ফলেও ব্যাপকভাবে দূষিত হয় ঝিলের পানি।
এএস/এএইচ