কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্বর্ণ ও কাপড় দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতারকৃত তিন ডাকাত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাছির আলমের আদালতে এ জবানবন্দি প্রদান করেন ডাকাতরা। সন্ধ্যায় তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। পুলিশ জানান, শনিবার রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের বাবুচি বাজারের মা মনি শিল্পালয় ও পাশের হাজি বস্ত্রালয়ের তালা ভেঙে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও থান কাপড়সহ প্রায় ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকার মালামাল ও একটি লোহার সিন্দুক লুটের পর ট্রাকে করে নিয়ে যায় ডাকাত দল। এ ঘটনায় স্বর্ণ দোকানী আকাশ বনিক বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫-১৬ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা দায়ের করেন। পরে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আবদুল্লাহ আল মাহফুজের নেতৃত্বে দীর্ঘ প্রায় এক মাস তদন্তের পর তথ্য প্রযুক্তি ও ম্যানুয়েল সোর্সের মাধ্যমে ডাকাতি মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করা হয়। এরপর পটুয়াখালী, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে লুট করা মালামালের কিছু অংশ বিশেষ উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার নলুয়াবাগির গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে মো. বদর উদ্দিন ডালি প্রকাশ, বদু ড্রাইবার (৩৫), একই জেলার কলাপাড়া থানার চিনগুরিয়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে মো. হাবিব প্রকাশ হাবু (২৮) ও বরগুনার আমতলি থানার কততাবনিয়া গ্রামের হোসাইনের ছেলে মো. দুলাল (৩০)। ডাকাতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাদের ব্যবহৃত একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-৯৯২৬) আটক করা হয়। চৌদ্দগ্রাম পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফরহাদ জানান, লুণ্ঠিত সিন্দুকসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার ও জড়িত অপর ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।মো. কামাল উদ্দিন/এআরএ/পিআর
Advertisement