জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ও দৃষ্টিনন্দন দুটি নৌকা তৈরি করে সেগুলো জাতীয় সংসদ লেকে ভাসানো হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) সকালে নৌকা দুটি ভাসানো হয়।
নৌকা ভাসানোর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আপাদমস্তকে একজন বাঙালি। তিনি বাঙালি জাতিসত্তা এবং সংস্কৃতিকে লালন করতেন। বাঙালি সংস্কৃতির মুক্তি এবং তা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে এদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তার দলীয় প্রতীকও নৌকা। এজন্য বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা এবং এদেশের সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ করতে হবে, প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে এবং এগুলো দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।’
Advertisement
পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে রয়েছে সমৃদ্ধশালী ইতিহাস, ঐতিহ্য। নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌকা এদেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতির একটি মৌলিক উপাদান। ঐতিহ্যবাহী নৌকাগুলো টিকিয়ে রাখার জন্য নিয়মিত নৌকাবাইচ, নৌকা মেলা এবং নৌকা জাদুঘর স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন নৌপর্যটন উন্নয়ন, আবহমান বাংলার নৌকাগুলোর ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এগুলো দ্রুতই বাস্তবায়ন হবে।’
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের (বাপক) চেয়ারম্যান রামচন্দ্র দাস বলেন, ‘নৌকা এবং নদীর সঙ্গে আমাদের সভ্যতা সৃষ্টির আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে নৌ পর্যটন উন্নয়নে বাপকের উদ্যোগে ট্যুরিস্ট ভেসেল সংগ্রহের কাজ চলছে। এছাড়া নৌকা এবং নদীকেন্দ্রিক সভ্যতাকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এবং শামসুল হক চৌধুরী।
Advertisement
এআর/এসআর/জেআইএম