নাটোরের পার হালসায় স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির নির্যাতনে আরিফা বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন নিহতের বাবা। এ ঘটনায় নিহত আরিফার শাশুড়ি অচি বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর পলাতক রয়েছেন। শনিবার রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রোববার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নাটোর সদর থানার উপ-পরিদর্শক সুকমল সরকার ও নিহতের পরিবার জানায়, প্রায় ৭ বছর আগে সদর উপজেলার পার হালসা গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে মাসুদ রানার সাথে চন্দ্রপুর গ্রামের আয়নাল হকের মেয়ে আরিফার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আরিফার ওপর যৌতুকের দাবিসহ বিভিন্ন কারণে নির্যাতন চালাতে থাকে আরিফার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার বিচার-সালিশ হয়। এর এক পর্যায়ে শনিবার রাতের কোন এক সময় আরিফাকে নির্যাতন করে হত্যার পর আরিফার বাবা-মাকে ঘটনাটি জানায় আরিফার শাশুড়ি অচি বেগম। সকালে নিহত আরিফার মা-বাবা লোকজন সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আরিফার মৃতদেহ ঘরের বারান্দায় দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আরিফার শাশুড়ি অচি বেগমকে আটক করে পুলিশ। এ দিকে ঘটনার পর থেকেই আরিফার স্বামী মাসুদ রানা ও শ্বশুর শুকুর আলী পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে নিহত আরিফার বড় চাচা রমজান আলী অভিযোগ করেন, শনিবার রাতে নির্যাতনের এক পর্যায়ে আরিফার মৃত্যু হলে তাদের জানানো হয় যে, আরিফা আত্মহত্যা করেছে। তিনি ঘটনার তদন্ত করে নিহত আরিফার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।নাটোর সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত আরিফার শাশুড়ি অচি বেগমকে আটক করা হয়েছে। নিহতের স্বামী ও শ্বশুর পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।রেজাউল করিম রেজা/এসএইচএস/পিআর
Advertisement