জাতীয়

আইসিডিডিআর’বি পরিচালনায় নতুন আইন

আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর’বি) সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যেই ‘ আন্তজার্তিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ আইন-২০১৫’ এর খসড়া আইন প্রণীত হয়েছে। খসড়া আইনটি সম্পর্কে মতামত সংগ্রহের লক্ষ্যে ৫ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য-৩ অধিশাখার উপসচিব এস,এম আহসানুল আজিজ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের চারজন সিনিয়র সচিব (জনপ্রশাসন, অর্থ, স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্য), ৬ জন সচিব (সমাজকল্যাণ, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন,দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ, মহিলা ও শিশু, পরিবেশ ও বন, স্থানীয় সরকার বিভাগ) ও রাজস্ব বোর্ডেও চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। খসড়া আইনের ওপর মতামত প্রদানের শেষ তারিখ ২৬ নভেম্বর উল্লেখ করা হয়। আইসিডিডিআর’বি পরিচালনায় নতুন আইন প্রণীত হলেও আইনটি প্রণয়ন সম্পর্কে অবহিত নন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কর্মী মঙ্গল সংঘের সাধারণ সম্পাদক ড. ফিরোজ আহমেদ রোববার দুপুরে জাগো নিউজকে বলেন, গত জুলাই মাসে কর্মী মঙ্গল সংঘের আন্দোলন কর্মসূচি চলার সময় আইসিডিডিআর’বির শীর্ষ কর্মকর্তারা তাদের সাথে আট দফা দাবি করেছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল আইসিডিডিআর’বি পরিচালনায় নতুন আইন করা হলে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই করা হবে। আইনে খসড়া হলেও কেউ তাদের সঙ্গে আলোচনা করেনি বলেও জানান তিনি। খসড়া আইনের শুরুতে বলা হয়, যেহেতু বহুজাতিক সহযোগিতায় এবং অর্থায়নে বাংলাদেশে একটি আন্তর্জতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, উদারাময় ও ইহার সাথে সরাসরি যুক্ত পুষ্টি, জনসংখ্যা ও অন্যান্য উদ্ভুত স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সমস্যা নিরসনের জন্য বহু বিষয়ক গবেষণার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত; যেহেতু রাষ্ট্রপতি তার ওপর অর্পিত ক্ষমতাবলে ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট এবং ৮ নভেম্বর এবং ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তারিখে ঘোষণাপত্র মোতাবেক আন্তর্জতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ অধ্যাদেশ ১৯৭৮ এবং আন্তর্জতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (সংশোধিত) অধ্যাদেশ ১৯৮৫ প্রণয়ন করিয়াছিলেন; যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশ রহিতকরণ এবং বাংলা ভাষায় আন্তজার্তিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ আইন-২০১৫ প্রণয়ন করা সমিচিন, সেহেতু উক্ত প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় রাখিয়া আইনটি প্রণীত হইল। কেন্দ্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে খসড়া আইনে বলা হয়, কেন্দ্রের কাজ হবে ডায়রিয়া রোগ ও পুষ্টি ও উর্বরতার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত বিষয়ে সমীক্ষা,গবেষণা ও জ্ঞান ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ ও প্রসার ঘটানো যার লক্ষ্য হবে স্বাস্থ্য সেবার উন্নত পদ্ধতির উদ্ভাবন এবং ডায়রিয়াজনিত রোগের প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ আনয়ন এবং বিশেষত উন্নয়নশীল দেশসমূহের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় জনস্বাস্থ্য কর্মসূচির উন্নয়ন সাধন। নিজে অথবা অন্যান্য জাতীয় ও বৈদেশিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে বাংলাদেশ সরকারের বিধি বিধান অনুসরণ করে সমীক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ এবং ডিগ্রি ও ডিগ্রি বিহীন শিক্ষামূলক কোর্সসমূহ চালু করা। কেন্দ্রের দক্ষতার ক্ষেত্রসমূহে জাতীয় ও আন্তজার্তিক প্রতিষঠানসমূহের সহযোগী বাংলাদেশি ও অন্যান্য দেশের গবেষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের সুবিধা গ্রহণ করা। বাংলাদেশ ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশসমূহের জনগণের স্বাস্থ্য বিষয়ে অথবা গবেষণার অংশ হিসেবে অবদানস্বরূপ সেবা প্রদান করা। স্বাস্থ্য সুবিধা দেবে এমন উদ্যোগ বাস্তবায়নে অবদান রাখা ও স্বাস্থ্যনীতির ক্ষেত্রে পরামর্শ প্রদান করা।এমইউ/এসকেডি/পিআর

Advertisement