জাতীয়

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান অব্যাহত

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় শুরু হয়েছে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান)। গত ২ নভেম্বর থেকে এ অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি।

Advertisement

বুধবার তৃতীয় দিনের মত উত্তর সিটির সব ওয়ার্ডে (৫৪টি) একযোগে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

ডিএনসিসির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন জানান, ডিএনসিসি এলাকায় শুরু হওয়া বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের (চিরুনি অভিযান) প্রথম দিনে (২ নভেম্বর) ১৩ হাজার ৮২৫টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করে ৯৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এছাড়া ৮ হাজার ৭১৩টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদিতে জমে থাকা পানি পাওয়ায় সেখানে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৬টি মামলায় ২ লাখ ৯০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

অন্যদিকে গতকাল (৩ নভেম্বর) ১৩ হাজার ১৬২টি বাড়ি, স্থাপনা পরিদর্শন করে ৯৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭ হাজার ৯৪০টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদিতে জমে থাকা পানি পাওয়ায় সেখানে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১২টি মামলায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

Advertisement

ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, ইতিপূর্বে পরিচালিত চিরুনি অভিযানের মতো এই অভিযান পরিচালনার উদ্দেশে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। আবার প্রতিটি সেক্টরকে ১০টি সাবসেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের ১টি সেক্টরে অর্থাৎ ১০টি সাবসেক্টরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এভাবে ১০ দিনে সমগ্র ডিএনসিসিতে চিরুনি অভিযান সম্পন্ন করা হবে। প্রতিটি সাবসেক্টরে ডিএনসিসির ৪ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও একজন মশক নিধনকর্মী, অর্থাৎ প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৪০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০ জন মশককর্মী ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন বাড়ি, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোথাও এডিস মশার লার্ভা আছে কিনা, কিংবা কোথাও ৩ দিনের বেশি পানি জমে আছে কিনা কিংবা ময়লা-আবর্জনা আছে কিনা, যা এডিস মশার বংশবিস্তারে সহায়ক, তা পরীক্ষা করছে।

পূর্বের চিরুনি অভিযানের ন্যায় এই চিরুনি অভিযান চলাকালে যেসব বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা কিংবা এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যাবে, তার ছবি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে একটি অ্যাপে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে চিরুনি অভিযান শেষে ডিএনসিসির কোন কোন এলাকায় এডিস মশা বংশবিস্তার করে তার একটি ডাটাবেস তৈরি হবে। ডাটাবেস অনুযায়ী পরবর্তীতেও তাদের মনিটর করা হবে। চলমান চিরুনি অভিযানে বিগত চিরুনি অভিযান থেকে প্রাপ্ত তথ্য (যা অ্যাপসে সংরক্ষিত আছে) অনুযায়ী চতুর্থ প্রজন্মের কীটনাশক নোভালিউরন প্রয়োগ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৫ হাজার ৫৫০টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করে ২ হাজার ৬৮৬টিতে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৫৮ লাখ ১৬ হাজার ৮১০ টাকা জরিমানা করা হয়।

এএস/জেএইচ/জেআইএম

Advertisement