ময়মনসিংহের তারাকান্দায় আদালতের নির্দেশে ৩ মাস ৭ দিন পর হাসিম উদ্দিনের লাশ কবর থেকে তুলেছে পুলিশ। মৃত হাসিম উদ্দিন উপজেলার ৫ নং বালিখা ইউনিয়নের পূর্ব মালিডাঙ্গা গ্রামের জসিম উদ্দিন খানের ছেলে।
Advertisement
মঙ্গলবার (০৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ৫ নং বালিখা ইউনিয়নের পূর্ব মালিডাঙ্গা গ্রামের জসিম উদ্দিনের পারিবারিক কবস্থান থেকে লাশ তোলেন পুলিশ।
তারাকান্দা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আক্তারের উপস্থিতিতে মৃত হাসিম উদ্দিনের লাশ তোলা হয়।
এ সময় তারাকান্দা থানা-পুলিশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- তারাকান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম ও এসআই খন্দকার আল মামুন।
Advertisement
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ২৬ জুলাই বালিখা ইউনিয়নের মালিডাঙ্গা গ্রামে রাত ১০টার দিকে রোকন, জসিম ও নিহতের ছোট ভাই খোকন মিয়া জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হাসিম উদ্দিনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
পরের দিন ২৭ জুলাই আহত হাসিম উদ্দিনকে তার পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরে সেখানে হাসিম উদ্দিনের অবস্থার অবনতি হলে ৫ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
সেখানে ৬ দিন চিকিৎসার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয় হাসিম উদ্দিনকে। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ আগস্ট হাসিম উদ্দিন মারা যায়।
Advertisement
পরে নিহতের ছোট ভাই খোকন মিয়া করোনায় মারা গেছে এমন সার্টিফিকেট দেখিয়ে পরদিন হাসিম উদ্দিনের লাশ তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত হাসিম উদ্দিনের স্ত্রী লুৎফুন্নাহার বাদী হয়ে ১০ অক্টোবর খোকন মিয়া (৩৫), রুকন খান (৩০) শ্বশুর জসিম উদ্দিন খান (৬০), নুপুর বেগমকে আসামি করে ময়মনসিংহ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
পরে বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৫ অক্টোবর কবর থেকে লাশ তোলার নির্দেশ দেন আদালত।
তারাকান্দা থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, করোনা আক্রান্ত সার্টিফিকেট দেখেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করা হয়েছিল। পরে নিহতের স্ত্রী আদালতে হত্যা মামলা দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে লাশ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
মঞ্জুরুল ইসলাম/এমআরএম