শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাস্টার্সের সনদ জালিয়াতির অভিযোগের ওঠার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন। সোমবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেকসোনা খাতুনকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
Advertisement
এছাড়া শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই প্রধান শিক্ষকের সনদ যাচাই করতে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রধান শিক্ষককে প্রমাণসহ লিখিত জবাব দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় এবং ওই বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. জহিরুল ইসলামের শিবচর থানায় করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার ভুইঘর পশ্চিমপাড়া গ্রামের শাহাবুদ্দিন সাউদ ও রাশিদা বেগমের ছেলে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, শিবচরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তার মাস্টার্সের সনদ ব্যবহার করেন। দুই ব্যক্তির দাবি করা ঢাকা কলেজের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিষয়ে মাস্টার্স সনদের রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন এবং নাম একই। এ কারণে সনদটি যাচাই করা প্রয়োজন হয়।
Advertisement
শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের বিষয়টি জোড়ালোভাবে তদন্ত চলছে। এ কারণে প্রধান শিক্ষকের মাস্টার্সের সনদ যাচাইয়ের জন্য ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে লিখিত চিঠি পাঠিয়েছি। এছাড়া প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের কাছেও প্রমাণসহ লিখিতভাবে জবাব দিতে বলেছি। মাস্টার্সের সনদ জালিয়াতির প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই শিক্ষকের সনদ জালিয়াতির প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ কে এম নাসিরুল হক/আরএআর/এমকেএইচ
Advertisement