গণমাধ্যম

ল্যাপটপ পেলো ৮৫ শিশু সাংবাদিক

শিশুদের লেখনির প্রতি উৎসাহিত করতে দেশের ৬৪ জেলার ৮৫ জন শিশু ও কিশোর সাংবাদিককে ল্যাপটপ প্রদান করেছে সরকার। রোববার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে শিশু সাংবাদিকদের ইন্টারনেট বিষয়ক একটি কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ ল্যাপটপ প্রদান করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এক্সিম ব্যাংকের সহযোগিতায় ‘ওয়ান ল্যাপটপ ওয়ান ড্রিম’ প্রকল্পের আওতায় এই শিশু ও কিশোর সাংবাদিকদের মাঝে ল্যাপটপ প্রদান করা হয়।অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধারাবাহিকভাবে দেশের প্রতিটি দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীকে একটি করে ল্যাপটপ প্রদান করে তাদের স্বপ্ন পূরণ করা হবে। শিশু সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ। একদিন এই দেশ গড়া ও পরিচালনার দায়িত্ব তোমাদেরই নিতে হবে। তোমাদের রাজনীতিও করতে হবে।‘আজ তোমরা যারা শিশু ২০৪১ সালে তারা উন্নত বাংলাদেশ গড়ায় নেতৃত্ব দেবে। আজ যারা কিশোর তারা ২০২১ সালের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আর এই শিশু ও কিশোর সাংবাদিকরাই আজকের এসব শিশু ও কিশোরদের কথা লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরে তাদেরকে ভবিষ্যতের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলায় সহায়তা করতে পারে’। যোগ করেন তিনি।  জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশই তরুণ হওয়ায় বাংলাদেশ বর্তমানে জনসংখ্যাতাত্বিক সুবিধায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এসব তরুণদের মেধাকে কাজে লাগাতে চান। সেজন্যই তিনি তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করে তোলার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে নানা উদ্যোগের বাস্তবায়ন করছে।তিনি বলেন, সরকার প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে কোটি কোটি বই বিতরণ করে। এখন বই বিতরণের পাশাপাশি ল্যাপটপ প্রদান শুরু করেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ইতোমধ্যে সারদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাড়ে তিন হাজার কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ ছেলে শেখ রাসেলের নাম স্মরণীয় করে রাখতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আরও দুই হাজার কম্পিউটার ল্যাব ও ৬৪ জেলায় ৬৪টি কম্পিউটার ল্যাব ও ল্যাংগুয়েজ ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। বিশ্বে প্রোগ্রামারের চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আইসিটি বিভাগ উচ্চ বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং শেখাচ্ছে।আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ প্রসঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার তার প্রতিটি নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শিশু ও কিশোর সাংবাদিকদের ল্যাপটপ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম আজ তা পূরণ করলাম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া, রবির চিপ অপারেটিং অফিসার মাহতাব উদ্দিন আহমেদ ও হুয়াওয়ে’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আরএম/একে/পিআর

Advertisement