জাতীয়

পাটপণ্যের রফতানি আয় লক্ষ্যের চেয়ে ২০ ভাগ বেশি

চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ ৪৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার আয় করেছে। এটা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২০ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি।

Advertisement

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর মাসিক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্যমতে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ ৪৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার আয় করেছে। এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৯ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি। আর তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২০ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি।

পাটখাতের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বাস্তবমুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কারণে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান আরও বাড়ছে দাবি করে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় পাটচাষিদের উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি পাটশিল্পের সম্প্রসারণে সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে।

Advertisement

এতে আরও বলা হয়, চলতি পাট মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, পাটচাষ নিশ্চিতে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সরকার মানসম্মত পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি ও পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে পাট অধিদফতরের আওতায় ‘উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

প্রকল্পটি দেশের ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাটচাষের উন্নত কলাকৌশল সম্পর্কে চাষিদের প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। এছাড়াও গুণগত মানসম্মত পাট ও পাটবীজ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের ৩৯০ টন পাটবীজ বিনামূল্যে বিতরণসহ সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।

আরএমএম/বিএ/এমকেএইচ

Advertisement