রাজনীতি

তারেকের আঙুল বাঁচানোর চেষ্টায় চিকিৎসকেরা

রাজধানীর লালমাটিয়ার প্রকাশককে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অাহত তারেক রহিমের তর্জনী (ইনডেক্স) আঙুলটি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন চিকিৎসকেরা। আঙুলটি বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চলছে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের অর্থপেডিক বিভাগের প্রধান ডা. মোহাম্মদ শামসুজ্জামান। গত ৩১ অক্টোবর শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর অফিসে তারেকসহ টুটুল ও কবি সুদীপ কুমার বর্মনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তদের টার্গেট টুটুল হলেও বাম হাত দিয়ে প্রতিরোধ সৃষ্টি করায় তারেক গুরুতর জখম হন। ডা. মোহাম্মদ শামসুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘তারেকের দুই হাতে গুরুত্বর জখম রয়েছে। সম্প্রতি তার ডান হাতের একটি সফল অস্ত্রপ্রচার সম্পন্ন হয়েছে। তার বাম হাতের কনুই এবং আঙুলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের কারণে তিনি এখনো আশঙ্কামুক্ত নন। বাম হাতের আঙুলগুলো নিয়ে আমরা এখনো সন্দিহান। এগুলোতে রক্ত চলাচল কম। তার ইনডেক্স আঙুলটির কোনো বোধ নেই। আমরা একে বাঁচানোর চেষ্টা করছি।’ ইনডেক্স আঙুল ছাড়াও তারেকের বৃদ্ধাঙুলটিও নড়ছে না বলে জানান এই চিকিৎসক। তিনি বলেন, বৃদ্ধাঙুলটি ‘কে-ওয়্যার’ দিয়ে জোড়া দেওয়া হয়েছে। আঙুলটিতে আপাতত বোধ না থাকলেও এটা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তারেকের আঙুলগুলো আগের মতো স্বাভাবিকভাবে কাজ করবে না।তারেককে কেবিনে স্থানান্তর করা হলেও চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি। আবারো অস্ত্রোপচার হতে পারে তার বাম হাতটিতে।এর আগে তারেকের চিকিৎসার জন্য ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। এঘটনায় আহত অপর দুজন টুটুল ও সুদীপ প্রায় সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢামেক চিকিৎসকেরা। শিগগিরই তাদের হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হবে। এ ঘটনার ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও এ পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সংস্থা। এ পর্যন্ত কাউকে শনাক্তের কাজটিও শেষ হয়নি।  মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, লালমাটিয়া এবং দীপনের ঘটনায় এখনো কোনো গ্রেফতার নেই। তবে ডিবির অভিজ্ঞতা ও আলামতের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) কোনো আম্ব্রেলা (অঙ্গসংগঠন) ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এআর/একে/পিআর

Advertisement