জাতীয়

আরপিও থেকে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত

‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও)’ বাংলায় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতিমধ্যে ইসি প্রাথমিক কাজ সম্পন্নও করেছে। আরপিওতে কোনো বিষয় নতুন করে ঢুকছে না।

Advertisement

‘রেজিস্ট্রেশন অব পলিটিক্যাল পার্টিস’ (রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন) আরপিও থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নিয়ে নতুন আরেকটি আইন করতে চায় তারা। ইসির এই ইচ্ছা বা সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন নির্ভর করছে সরকারের ওপর।

সোমবার (২ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

সিইসি বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও)– এ আইনটি প্রায় ৪৭/৪৮ বছর পরে বাংলায় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এর প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর অপেক্ষায় রয়েছে।’

Advertisement

‘আরপিওতে কোনো বিষয় নতুন করে ঢুকছে না। কেবল রেজিস্ট্রেশন অব পলিটিক্যাল পার্টিস, এটা জাতীয় সংসদের নির্বাচনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় না। দ্বিতীয়ত, বর্তমানে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলো ক্ষেত্রে পলিটিক্যাল পার্টির নমিনেশন আসে। এটা আরপিওতে অ্যাডজাস্ট করা যায় না। এসব কারণে আমরা প্রস্তাব করেছি যে, এটাকে (রেজিস্ট্রেশন অব পলিটিক্যাল পার্টিস) আমরা আলাদা একটা আইন করবো। সরকার যদি মনে করে যে, আলাদা আইন করার দরকার নেই, তাহলে আরপিওর মধ্যেই এটা যুক্ত করা হবে। আমাদের যুক্তি হলো, এটা তো ২০০৮ সালে করা হয়েছে, ১৯৭২ সালের জাতির পিতার সময়ের যে আইন, সেটাও এটা না। ২০০৮ সালে আইনের একটা অধ্যায় এখানে ঢুকানো হয়েছিল। সুতরাং তাতে মূল আরপিওর যে মৌলিকত্ব, সেখানে প্রভাব পড়ে না। বড় কথা হলো যে, সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে এটার সম্পৃক্ততা নেই।’

এই আদেশকে আইন করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কারণ ব্যাখ্যা করে সিইসি বলেন, ‘প্রথমে কথা ছিল এটাকে আইন করা হবে। ১৯৭২ সালের এই ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’ পরিবর্তন করে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আইন, ২০২০’ হবে এরকম একটা প্রস্তুতি ছিল। সেই অনুসারে আমরা এটাকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। পরে মন্ত্রিপরিষদ থেকে একটি সিদ্ধান্ত আসে যে, বঙ্গবন্ধুর সময়ে যেসব আদেশ তৈরি হয়েছিল, সেগুলোকে পরিবর্তন করা যাবে না, সংশোধন করা যাবে। সেটার ওপর আমরা সম্মান রেখে সেভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ওটা সংশোধন হবে। এই আদেশের ৯৪(এ) তে নির্দেশনা আছে, এই ইংরেজিটা বাংলায় করতে হবে। সেই কাজটা আমরা এতো পরে হলেও করলাম। এটা আইন মন্ত্রণালয়ে যাবে। সেখানে ভেটিং হবে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদে যাবে। সেখান থেকে আবার সংসদে যাবে।’

পিডি/এএইচ/জেআইএম

Advertisement