দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এশিয়া এনার্জির অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পৌর মেয়রসহ উম্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা খনি বাস্তবায়নের বিরেুদ্ধে আন্দোলনকারী নেতৃবৃন্দরা জামিন পেয়েছেন।রোববার বেলা ১১টায়, পৌর মেয়র মুরতুজা সরকার মানিকসহ থানা পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্রের ১৯ জন আন্দোলনকারী নেতৃবৃন্দ, দিনাজপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে তাদের স্ব স্ব আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুটিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৃষ্ণ কমল সরকার, ১০ হাজার টাকা মুচলেকা দিয়ে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। আসামিদের পক্ষে জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট দেবল কুমার সরকারসহ ১০/১২ জন আইনজীবী।উল্লেখ্য, গত ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর এশিয়া অ্যানার্জির প্রধান গেরি এন লাই ফুলবাড়ীতে এসে গোপন বৈঠক করার সমায় উম্মুক্ত পদ্ধতিতে খনি বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা এশিয়া অ্যানার্জির ফুলবাড়ী অফিস ঘেরাও করে। এসময় উত্তেজিত জনতা অফিসের বাইরে থাকা কয়েকটি আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় এশিয়া এনাজির মাঠ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ২০১৪ সালের ৮ ডিসেম্বর দিনাজপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফুলবাড়ী রক্ষার আন্দোলনকারী সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠনের আহ্বায়ক পৌর মেয়র মুরতুজা সরকার মানিকসহ তেলগ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ বন্দর রক্ষা কমিটির ১০ নেতার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ফুলবাড়ী থানা পুলিশ তদন্ত করে এজাহার ভুক্ত ১০ জনসহ আরো ৯ জনকে আসামি করে গত ৩১ অক্টোবর ১৯ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। অভিযোগপত্র দাখিলের পর রোববার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে পৌর মেয়রসহ আন্দোলকারী নেতৃবৃন্দ জামিন লাভ করেন।জামিন লাভের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায়, পৌর মেয়র মুরতুজা সরকার মানিক বলেন ফুলবাড়ীবাসী তাদের বাড়ি-ঘর ভিটেমাটি রক্ষার জন্য আন্দোলন করছে, এই আন্দোলন ফুলবাড়ীবাসীর বাপ-দাদার ঐতিহ্যকে রক্ষার আন্দোলন, কয়েক জন নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে এই আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। তিনি আরো বলেন, বিদেশিদের স্বার্থ রক্ষার জন্য আন্দোলনকারী নেতৃন্দের নামে এই মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, এই মিথ্যা মামলা দেয়ার জবাব জনগণেই দেবে বলে তিনি জানান।এমদাদুল হক মিলন/এমজেড/পিআর
Advertisement