রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) রুহুল আমিনকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পরপররই রংপুর মেডিকেল থেকে ৪র্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান নয়ন ও সমিতির সাবেক সম্পাদক মৃত আব্রাহাম লিংকনের বড় ভাই আবু রায়হানকে আটক করা হয়।এদিকে, আহত রুহুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ও আইসিইউ এর ইনচার্য ডা. বিডি বিধু জাগো নিউজকে জানান, রুহুলের বাম কাধের একটু নিচে একটা গুলি আটকে আছে। গুলিটি অপসারণ করার প্রয়োজনে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল।আহত রুহুল আমিনের স্ত্রী সাইফুন নাহার রেবা জাগো নিউজকে জানান, প্রতিদিনের মতো সকাল আটটার দিকে তার স্বামী কর্মস্থল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাবার জন্য বের হন। বাসা থেকে বেরিয়ে মহাসড়কে উঠার আগেই দুজন অজ্ঞাতনামা যুবক রুহুলকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে গুলি তার বাম কাঁধে লাগে। পরে স্থানীয়রা এসে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।রেবা আরও জানান, সন্ত্রাসীরা তিনজন ছিলেন। একজন একটি মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। আর দুজন তার স্বামীকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। আহত রুহুল আমিন রংপুর বাহাই কেন্দ্রের পরিচালক পদে দ্বায়িত পালন করছেন বলেও তার স্ত্রী জানান।ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কোতয়ালী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম জাগো নিউজকে জানান, ঘটনাস্থল থেকে চারটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জাগো নিউজকে জানান, অটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।রংপুর পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক জাগো নিউজকে জানান, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে তাকে গুলি করা হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।জিতু কবীর/এমজেড
Advertisement