দেশজুড়ে

গাজীপুরে আইনজীবী খুনের ঘটনায় মা-ছেলে গ্রেফতার

গাজীপুর শহরে উত্তর ছায়াবিথী এলাকায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী এনামুল হক বিপ্লবকে (৪২) ছুরিকাঘাত ও রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন, মাহবুব হাসান রাব্বি ওরফে রাতুল (২২) ও তার মা নাজমা বেগমকে (৪২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে শ্রীপুরের ইজ্জতপুর রেলস্টেশন (পাঠানবাড়ী) এলাকা থেকে রাব্বীকে গ্রেফতার করা হয়। মা নাজমা বেগমকে গ্রেফতার করা হয় গাজীপুর শহরে তাদের বরুদা বাসা থেকে। খুনের সঙ্গে জড়িত রাব্বীর ভাই রবিন ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। রাব্বীদের গ্রামের বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলার সাহেব প্রতাপ গ্রামে। তার বাবা মাসুদুর রহমান গাজীপুর জজ আদালতের সেরেস্তাদার। তারা শহরের বরুদা এলাকায় বসবাস করেন।গাজীপুরে রোববার দুপুরে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ তার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গাজীপুর আদালতের শিক্ষানবিশ আইনজীবী এনামুল হক বিপ্লব ছুকিাঘাতের ঘটনা জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং আসামিদের ধরতে ব্যাপক অভিযান চালায়। রাতেই রাব্বী ও তার মাকে গ্রেফতার করা হয়।তিনি জানান, রাব্বীর মা নাজমা বেগমের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের জের ধরে শিক্ষানবিশ আইনজীবী এনামুল হক বিপ্লব খুন হন। এ ঘটনার সঙ্গে রাব্বী ও তার ভাই রবিন সরাসরি জড়িত। রাব্বী পুলিশের কাছে আইনজীবী এনামুল হক বিপ্লবকে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় রোববার জয়দেবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় খন্দকার এনামুল হক বিপ্লব তার বাসার সামনে এসে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা স্থানীয় সন্ত্রাসী রাব্বী ও রবিন তাকে ঘিরে ধরেন। এক পর্যায়ে তারা বিপ্লবকে এলোপাথারি ভাবে ছুরিকাঘাত ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের চিকিৎসকগণ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। শনিবার রাত সাতটার দিকে উত্তরার আধুনিক হাসপাতালে নেয়া হলে তার অবস্থার আরো অবনতি ঘটে। সেখান থেকে তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়ার পথে বিপ্লব মারা যান।নিহত বিপ্লব গাজীপুর আদালতের শিক্ষানবিশ আইনজীবী এবং উত্তরছায়াবীথি এলাকার মৃত খন্দকার সামসুদ্দিন বড় ছেলে। তার ছোট ভাই অ্যাডভোকেট খন্দকার আমিনুল হক টুটুল ঢাকার সুপ্রিম কোর্টের সাবেক সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। গত ১০ দিন আগে তার বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।জয়দেবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা জাগো নিউজকে জানান, মামলার অপর আসামি রবিনকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।মো. আমিনুল ইসলাম/এমজেড

Advertisement