অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যকে বলা হয় দেশটির করোনার হটস্পট। দেশটিতে করোনায় এখন পর্যন্ত ৯০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশই ভিক্টোরিয়া রাজ্যের। কিন্তু আশার কথা হচ্ছে গত ৫ মাসের মধ্যে প্রথমবার ওই রাজ্যে একজনও করোনায় আক্রান্ত হয়নি।
Advertisement
শুধুমাত্র সংক্রমণ ধরা পড়েনি তাই নয়, বরং টানা দু'দিনে ওই রাজ্যে করোনা সংক্রমণে একজনেরও মৃত্যু হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার অন্য কোনো রাজ্যেও নতুন করে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ধরা পড়েনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট জানিয়েছেন, গত ৯ জুনের পর এই প্রথম দেশটিতে একজনেরও সংক্রমণ ধরা পড়েনি।
এক টুইট বার্তায় হান্ট বলেন, ‘আমাদের চমৎকার সব স্বাস্থ্য ও গণস্বাস্থ্য কর্মী এবং সর্বোপরি অস্ট্রেলিয়ার জনগণকে ধন্যবাদ জানাই।’ গত সপ্তাহে কুইন্সল্যান্ডের ওপর থেকে ১১১ দিনের লকডাউনের বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়া হয়।
এর আগে ভিক্টোরিয়ার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রেট সাটোন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, দেশটিতে জনগণের গতিবিধির ওপর থেকে কড়াকড়ি শিথিল করা হবে। শুরু থেকেই কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
Advertisement
ফ্রান্সে প্রতিদিন সংক্রমণ প্রায় ৫০ হাজার, বেলজিয়ামে রোগীদের দেশের বাইরে পাঠানো হচ্ছে কারণ সেখানে জায়গা হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়া অনেকটাই ভালো অবস্থানে আছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখনও করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ হাজারের বেশি। যা অন্যান্য অনেক দেশের দৈনিক সংক্রমণের চেয়েও অনেক কম। করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর পরই আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। এমনকি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং দেশজুড়ে টেস্টিং ও ট্রেসিং বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার অস্ট্রেলিয়া তাদের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিক্ষোভ সহিংসতা এবং করোনাভাইরাসের কারণে নিজেদের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশটির ব্যাপারে নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছে।
Advertisement
টিটিএন/জেআইএম