আইন-আদালত

প্রথম বিসিএসের ৩৯ মুক্তিযোদ্ধাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির নির্দেশ

প্রথম বিসিএসে (১৯৭৩) নিয়োগ পাওয়া যুগ্ম সচিব ও উপসচিব পদের ৩৯ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে তাদের প্রাপ্য পদমর্যাদায় ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি এবং সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

Advertisement

২০১৩ সালে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রোববার (১ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রেজা-ই রাব্বী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী রেজা-ই রাব্বী।

পদোন্নতি বঞ্চিত না হলে এই ৩৯ জনের মধ্যে ৩৭ জন সচিব, একজন অতিরিক্ত সচিব ও একজন যুগ্ম সচিব হতেন বলেও জানান আইনজীবী।

Advertisement

রায়ে বলা হয়, ১৯৯৮ সালের ‘পদোন্নতি/নিয়োগের নীতিমালার’ আলোকে অবসরে যাওয়া এসব যুগ্ম সচিব ও উপসচিব প্রাপ্যতা অনুসারে পদোন্নতিসহ আনুসাঙ্গিক সুবিধা ও পদমর্যাদা পাবেন।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০২ সালের ‘উপসচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি/নিয়োগের বিধিমালা’ মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বা কার্যকর হবে না।

আইনজীবী রেজা-ই রাব্বী সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন সময় পদোন্নতিবঞ্চিত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা বিসিএস কর্মকর্তা মো. সাইফুজ্জামান, মো. আমিরুল ইসলাম, মো. খলিলুর রহমানসহ ৩৯ কর্মকর্তার পক্ষে ২০০২ সালের বিধিমালা চ্যালেঞ্জ করে তিনটি পৃথক রিট করা হয় ২০১৩ সালে। রিটে ২০০২ সালের ‘উপসচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি/নিয়োগের বিধিমালা’ চ্যালেঞ্চ করা হয়।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত প্রাথমিকভাবে ওই বছরই ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর রুল জারি করেছিলেন। রুলে ২০০২ সালে প্রণীত বিধিমালা কেন রিট আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে অবৈধ এবং সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয় এবং অবসরে যাওয়া পদোন্নতিবঞ্চিত ৩৯ মুক্তিযোদ্ধাকে ১৯৯৮ সালের নীতিমালা অনুযায়ী পদোন্নতির সুযোগ-সুবিধা কেন দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন।

Advertisement

এফএইচ/এসএইচএস/বিএ/এমএস